দীর্ঘ অপেক্ষার পর করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেয়া শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ। বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে প্রস্তুতির তোড়জোড়। এজন্য কোভিড টিকাদান কার্যক্রমের একটা খসড়া পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে সরকার। বর্তমানে এটি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছে। এই খসড়া পরিকল্পনা অনুযায়ী, দেশের প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেয়া হবে।
দেশের মোট জনগোষ্ঠির ৮০ শতাংশ আসবে এই পরিকল্পনার আওতায়। সে হিসেবে টিকা পাবেন ১৩ কোটি ৮২ লাখ ৪৭ হাজার জন। এর জন্য সময় নির্ধারণ করা হয়েছে ১৯২ দিন। তিন পর্যায়ে টিকা দেয়া হবে, প্রত্যেকটি পর্যায়ে থাকবে আবার কয়েকটি পর্ব।
কে আগে টিকা পাবেন, এটা একটা বড় প্রশ্ন। এই প্রশ্নের সুরাহা না হলে তৈরি হতে পারে বিশৃঙ্খলা, যা পুরো প্রক্রিয়াকেই প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলতে পারে। তাই এই পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য অংশ জুড়ে রয়েছে টিকা পাওয়ার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকারের তালিকা। টিকা গ্রহণকারীদের ১২ শ্রেণিতে ভাগ করেছে কর্তৃপক্ষ।
তালিকার এক নম্বরে আছে সরকারি স্বাস্থ্যকর্মীরা, এমনকি তিনি যদি সরকারি হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স চালকও হয়ে থাকেন। দ্বিতীয় নম্বরে থাকবেন বেসরকারি ও স্বতন্ত্র স্বাস্থ্যকর্মীরা। তৃতীয় ধাপে টিকা পাবেন স্বাস্থ্য প্রশাসন ও ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িত কর্মীরা। চতুর্থ ধাপে আছেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। পাঁচ নম্বরে টিকা পাবেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
পরিকল্পনার ষষ্ঠ ধাপে আছেন প্রতিরক্ষা তথা সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, বর্ডার গার্ড, কোস্ট গার্ড ও প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের সদস্যরা। সপ্তম ধাপে সরকারি প্রশাসনিক কর্মকর্তারা। তালিকার অষ্টম নম্বরে আছেন সাংবাদিকরা। নবম ধাপে জনপ্রতিনিধিরা। দশম স্তরে সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার কর্মীরা। একাদশ ধাপে ধর্মীয় প্রতিনিধিরা। দ্বাদশ পর্যায়ে মৃতদেহ সৎকারে নিয়েজিত ব্যক্তিরা।