সম্প্রতি মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও বাংলাদেশে আল কায়েদার অস্তিত্ব নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন, তার সেই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ। সেইসঙ্গে তার এ ধরনের বক্তব্যের প্রতিবাদও জানিয়েছে ঢাকা। বুধবার রাতে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ প্রতিবাদ জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এতে বলা হয়, সম্প্রতি এক বিবৃতি দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও, যা বাংলাদেশ সরকারের দৃষ্টিগোচর হয়েছে। মাইক পম্পেও তার বিবৃতিতে বলেছেন- বাংলাদেশ একটি স্থান ‘যেখানে আল-কায়েদা সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর অস্তিত্ব রয়েছে এবং এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ভবিষ্যতে এখানে হামলা চালাতে পারে।’ একজন সিনিয়র কূটনীতিকের এমন দায়িত্বহীন মন্তব্য শুধু অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনকই নয়, সেইসঙ্গে অগ্রহণযোগ্যও।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ পম্পেওর এ ধরনের ভিত্তিহীন মন্তব্যকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। বাংলাদেশে আল-কায়দার কোনো উপস্থিতি আছে, এমন কোনো প্রমাণ নেই। বাংলাদেশ সকল প্রকার সন্ত্রাসবাদ এবং সহিংস চরমপন্থার বিরুদ্ধে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব এর বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি বজায় রেখেছে। বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাস মোকাবেলায় সব ধরনের পদক্ষেপও গ্রহণ করেছে। এ জন্য বিশ্বব্যাপী প্রশংসাও কুড়িয়েছে বাংলাদেশ।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিবৃতিতে আরো বলেছে, সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকারের যে নীতি ও প্রতিশ্রুতি, সেই অনুযায়ী আমরা আন্তর্জাতিক ‘প্রতিরোধমূলক’ উদ্যোগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত আছি। সুতরাং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আল-কায়েদার সম্ভাব্য অবস্থান বাংলাদেশ সম্পর্কে যে মন্তব্য করেছেন তা ভিত্তিহীন। এর কোনো প্রমাণও নেই। এ ধরনের দাবি প্রমাণ হলে তার বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারই খুশি মনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
বাংলাদেশ সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, অংশীদারি, বন্ধুত্বপূর্ণ ও মূল্যবোধের ভিত্তিতে যখন দুই দেশের মধ্যকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক অগ্রসর হচ্ছে, তখন এ জাতীয় কল্পনাপ্রসূত বিবৃতি দেওয়া হলে তাকে অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক বলে বিবেচনা করবে বাংলাদেশ।