কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনায় দায়েরকৃত মামলায় অভিযুক্ত ২২ আসামিকে জামিন দিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার তারা জামিনে মুক্ত হয়ে দিনাজপুরের জেলা কারাগার থেকে বের হন। বুধবার বিকেলে দায়রা বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল করিম এক আদেশে তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি
আসামিরা হলেন- বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডের (বিসিএমসিএল) ছয় জন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২২ কর্মকর্তা। এর আগে গতকাল বুধবার তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
তথ্যটি নিশ্চিত করে দিনাজপুর জেলা কারাগারের জেলার ফরিদুর রহমান রুবেল বলেন, গতকাল আসামিরা আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। তখন সেই আবেদন নামঞ্জুর করে তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক মাহমুদুল করিম।
পরবর্তীতে বিকেলে আসামিপক্ষের আইনজীবী নুরুজ্জামান জাহানী হাইকোর্ট বিভাগের নথি উপস্থাপন করেন। এরপর আদালত তাদের জামিন দেন। তখন জামিন সংক্রান্ত নথি কারাগারে পাঠানো হয়। কিন্তু সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় নিয়ম অনুযায়ী আসামিদের রাতে কারাগারেই থাকতে হয়েছে। আজ সকাল পৌনে ৯টার দিকে তারা মুক্ত হয়ে বের হন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের ১৭ জুলাই দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কোম্পানি লিমিটেডে কয়লা কেলেঙ্কারির ঘটনাটি ধরা পড়ে। এর আগের দিন ১৬ জুলাই খনি পরিদর্শনের সময় পেট্রোবাংলার একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ইয়ার্ডে কয়লার ঘাটতি খুঁজে পেলে পরের দিন দেখা যায়, সেখানে প্রায় ২৩০ কোটি টাকা মূল্যের ১ লাখ ৪৫ হাজার মেট্রিক টন কয়লা কম ছিল।
এত বড় ঘাটতির কারণে পিডিবির ৫২৫ মেগাওয়াট ক্ষমতার তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রটি বন্ধ হয়েছে যায় এবং সেটি আবার চালু করতে প্রায় ৫৩ দিন সময় লেগে গিয়েছিল। পরবর্তীতে এ মামলার তদন্তভার নেয় দুদক (দুর্নীতি দমন কমিশন)।
একই বছরের ২৪ জুলাই প্রতিষ্ঠানটির ১৯ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে পার্বতীপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়। ব্যবস্থাপক (প্রশাসন) মো. আনিসুর রহমান নিজে বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন। তদন্ত শেষে সাত জন সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ ২৩ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে দুদক। এদের মধ্যে এক আসামি সম্প্রতি মৃত্যুবরণ করেন।