ভারতীয় পেঁয়াজে ‘অনাগ্রহ’, আমদানি বন্ধ

দেশে বর্তমানে আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ এবং দেশি পেঁয়াজের দাম সমান। এ কারণে কোনো ক্রেতাই ভারতীয় পেঁয়াজ কিনতে চাচ্ছেন না। এমতাবস্থায় পণ্যটি আমদানি বন্ধ করে দিয়েছে আমদানিকারকরা।

সীমান্তে পণ্য পরিবহনের ট্রাক, পুরনো ছবি

জানা গেছে, দেশীয় বাজারে বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজের চাহিদা নেই। অন্যদিকে, দেশি পেঁয়াজের ভরা মৌসুম চলায় সকলে সেটাই কিনছেন। তাছাড়া দামও প্রায় সমান। তাই স্বাদে অনন্য হওয়ায় নিজ দেশের পণ্যকেই প্রাধান্য দিচ্ছেন ক্রেতারা।

তাছাড়া পেঁয়াজের ওপর ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক আরোপ করেছে সরকার। এমন অবস্থায় ক্ষতির শঙ্কায় কোনো ব্যবসায়ী আর সেগুলো আনতে চাচ্ছেন না। ফলে স্থল বন্দরগুলো দিয়ে আমদানি আপাতত বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।

কর্তৃপক্ষ জানায়, ভারতে পেয়াজের মূল্য, পরিবহন খরচ ও বাংলাদেশের ১০ শতাংশ আমদানি শুল্ক যুক্ত করে বর্তমানে প্রতিকেজির দাম পড়েছে ৩৫ থেকে ৩৭ টাকা। খুচরা বাজারে আসতে সেটার দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে ৪২ থেকে ৪৩ টাকা। বিপরীতে দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা করে। আর বাজার থেকে ক্রেতারা কিনছেন সর্বোচ্চ ৪০ টাকা কেজি দরে।

সীমান্তে পণ্য পরিবহনের ট্রাক, পুরনো ছবি

এ বিষয়ে হিলি স্থলবন্দর আমদানি-রপ্তানি গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ বলেন, বর্তমানে দেশি পেঁয়াজের সরবরাহ প্রচুর থাকায় চাহিদার দিক থেকেও ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে। আর দামও অনেক কম। তাই পণ্যটি আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।

তবে আগামী মাস থেকে আবারও আমদানি শুরু করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, তখন দেশীয় পেঁয়াজের সরবরাহ কমে যেতে পারে। ফলে আমদানি করলে ব্যবসায়ীরাও মুনাফা উঠাতে পারবেন।

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলাম বলেন, শুল্কারোপের কারণে ভারতীয় পেঁয়াজের দাম বেশি পড়ে গেছে। অন্যদিকে, সরবরাহ বেশি থাকায় দেশি পণ্যের দাম কম। ফলে ক্রেতাদের আমদানি পেঁয়াজে আগ্রহ নেই। তাই লোকসানের শঙ্কায় আমদানি বন্ধ রাখা হয়েছে।