অপেক্ষার পালা শেষ। নানা জল্পনা-কল্পনা শেষে আজ (২০ জানুয়ারি) ভারত থেকে ভ্যাকসিন আসছে। তবে এটা কেনা ভ্যাকসিন নয়, ভারতের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে বিমানবন্দরে এই ভ্যাকসিন হস্তান্তর করা হবে। প্রথমে কিছু স্বাস্থ্যকর্মীর শরীরে এই টিকা প্রয়োগের পর ১ সপ্তাহ পর্যবেক্ষণ করা হবে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম বলেছেন- এমন নয় যে, ভ্যাকসিন হাতে পাওয়ার পরই পুশ করা শুরু হবে। প্রথমে কোভিড মোকাবেলায় সম্মুখ সারির যোদ্ধা তথা কয়েকজন চিকিৎসক এবং নার্সকে এটি প্রয়োগ করা হবে। তাদেরকে ৭ দিনের পর্যবেক্ষণে রাখার পর ভালোমন্দ বিবেচনা করে শুরু হবে টিকা প্রয়োগের মূল কর্মসূচি।
প্রসঙ্গত, ‘কোভিশিল্ড’ নাম দিয়ে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা কর্তৃক উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদন করছে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট। এই টিকার ৩ কোটি ডোজ কিনেছে বাংলাদেশ। প্রথম চালানে ৫০ লাখ ডোজ আসছে চলতি জানুয়ারিতেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন, ফেব্রুয়ারির আগেই হয়তো টিকা প্রদান কর্মসূচি শুরু করা সম্ভব হবে। প্রতিদিন দেওয়া হবে ২ লাখ ডোজ।
মন্ত্রী আরো বলেন, প্রতিদিন ২ লাখ ডোজ টিকা প্রয়োগের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কর্মসূচি শুরু হবে। প্রথম পর্যায়ে সিটি করপোরেশনগুলোর বাসিন্দাদের টিকা দেওয়া হবে। জেলা-উপজেলা হয়ে তারপর এই কর্মসূচির আওতায় আসবে প্রত্যন্ত গ্রামের বাসিন্দারা।
ভ্যাকসিন সংরক্ষণের প্রস্তুতি সম্পর্কে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক খুরশীদ আলম জানান, ২৯টি জেলায় টিকা সংরক্ষণের ‘ওয়াক ইন কুল’ রয়েছে। আরো ১৮টি জেলায় এই সংরক্ষণাগার তৈরি করা হচ্ছে। এ ছাড়া প্রত্যেক জেলা-উপজেলায় থাকা হিমায়িত বাক্সে টিকা সংরক্ষণের ব্যবস্থায় (আইএলআর) টিকা রাখা হবে। এটি পরিবহন করা হবে আলাদা হিমায়িত বাক্সে।
‘এছাড়া তিনটি বিকল্প জায়গা নির্ধারণ করা হয়েছে, সেগুলো হলো- মহাখালীর টিকাদান কর্মসূচির প্রধান কার্যালয়, তেজগাঁওয়ে নিজস্ব সংরক্ষণাগার ও কেন্দ্রীয় ওষুধাগার।’ জানান অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম।