টিকা প্রয়োগে অপেক্ষার আহ্বান ড. বিজনের

বাংলাদেশে করোনার টিকা প্রয়োগের ক্ষেত্রে ১৫ দিন অপেক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অণুজীববিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীল। এর মধ্যে ভারতে উৎপাদিত টিকার প্রতিক্রিয়া সম্পর্কে জানা যাবে এবং তখন নিঃসন্দেহে তা প্রয়োগ করা যাবে বলে মনে করেন তিনি।

ডা. বিজন কুমার শীল

ভারতে ব্যাপক হারে ব্যবহার করা হচ্ছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা। এই টিকা কিনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ। যার প্রথম চালানা চলতি মাসের মধ্যেই দেশে আসার কথা রয়েছে। অন্যদিকে, ভারত সরকারের উপহার হিসেবে পাঠানো ২০ লাখ ডোজ টিকা ইতোমধ্যে বাংলাদেশে এসে পৌঁছেছে।

সার্স ভাইরাসের কিট এবং করোনা শনাক্তের জি র্যা পিড ডট ব্লট কিটের উদ্ভাবক ড. বিজন কুমার শীল বলছেন, যেহেতু ভারতে এটি ব্যবহার করা হচ্ছে, সেহেতু এর ফল কী আসে তা দেখার জন্য ১৫ দিন অপেক্ষা করা যেতে পারে।

অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা কিনতে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ

ড. বিজন একটি দেশীয় গণমাধ্যমকে বলেন, ভারতে ব্যাপক হারে এই টিকা ব্যবহার করা হচ্ছে। সে দেশে এর ফলাফল কেমন হয়, সেটা দেখতে পারে আমাদের দেশের মানুষ। ভারতে যদি এর ফল ভালো হয়, তাহলে সকল সংশয় ও দুশ্চিন্তা দূর হবে। কারণ বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষ তো একই রকম। তাই ভারতে টিকার যে ফলাফল আসবে, আশা করা যায় সেই একই ফল বাংলাদেশেও আসবে।

এই বিজ্ঞানী বলছেন, এ ক্ষেত্রে কমপক্ষে আরো ১৫ দিন অপেক্ষা করা উচিত। ভ্যাকসিনের যদি কোনো প্রতিক্রিয়া হয়, এই সময়ের মধ্যেই ভারতে সেটা প্রকাশ পাবে। সেক্ষেত্রে মানুষের মনে প্রশ্ন কম থাকবে।

তিনি এও বলছেন, অবশ্য বাংলাদেশে ভ্যাকসিন এসে পৌঁছা মানেই তো আর প্রয়োগ করা না। বরং টিকা এসে পৌঁছার পর সেটা সেটআপ করতেও সময় লেগে যাবে। যারা টিকা প্রয়োগ করবে তাদের প্রশিক্ষণ এবং যাদেরকে টিকা দেওয়া হবে তাদের নির্বাচন করা- এসব মিলিয়ে দুই সপ্তাহ সময় এমনিই লেগে যাবে। এর মধ্যেই ভারতের পরিস্থিতি সম্পর্কেও জানা যাবে।

এই ভাইরাস বিশেষজ্ঞা মনে করেন, বাংলাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগ ও টিকার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যারা আছেন, ভারতে টিকা প্রয়োগের ফলাফলটা যদি তারা ভালো করে পর্যবেক্ষণ করেন, তাদের সঙ্গে তথ্য আদান-প্রদান করেন, তাহলে তারা ভালো সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারবেন।