আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে করোনার টিকাদান কর্মসূচি উদ্বোধর করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথম দিন সেখানে মোট ২৬ জন টিকা নেন, তাদের মধ্যে প্রথম হলেন হাসপাতালটির সিনিয়র স্টাফ নার্স রুনু ভেরোনিকা কস্তা। এর মধ্য দিয়ে ইতিহাসে জায়গা করে নেন তিনি।
টিকা নিচ্ছেন এক ব্যক্তি
বাকি ২৫ জনের মধ্যে প্রথম পাঁচজন হলেন- ডা. আহমেদ লুৎফুল মোবেন (কুর্মিটোলা হাসপাতালের চিকিৎসক), অধ্যাপক নাসিমা সুলতানা (স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক), দিদারুল ইসলাম (ট্রাফিক পুলিশ মতিঝিল বিভাগ) ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরান হামিদ (সেনাবাহিনী)।
টিকা নেয়া অন্য ২০ জনের মধ্যে চিকিৎসকরা হলেন- ডা. আল মামুন শাহরিয়ার সরকার, ডা. অরুপ রতন চৌধুরী, অধ্যাপক ডা. আবদুল কাদের খান, ডা. ফরিদা ইয়াসমিন ও ডা. আফরোজা জাহিন।
রুনু বেরোনিকা কস্তাকে টিকা দেয়া হচ্ছে
সেনাবাহিনীর মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান ছাড়াও মো. মাজেদুল ইসলাম, মো. আব্দুল হালিম, মো. এনামুল হাসান, মো. হামজা, মো. আব্দুর রহিম, কাজী জসিম উদ্দিন, মোশারফ হোসাইন এদিন টিকা নেন।
এ ছাড়া টিকা নিয়েছেন মাসুদ রায়হান পলাশ, মো. আল- মাসুম মোল্লা, আমিরুল মোমেনিন, মো. আশিফুল ইসলাম, দেওয়ান হেমায়েত হোসাইন, সানজিদা সুলতানা, শাম্মী আকতার, মিম মুন্নি খাতুন।
প্রথম দিন ৩২ জনের টিকা নেয়ার কথা থাকলেও ৩ জন অনুপস্থিত ছিলেন। টিকা নিতে আসলেও সমস্যা থাকার কারণে আরো তিন জনকে টিকা দেয়া সম্ভব হয়নি।
দিদারুল ইসলাম, ট্রাফিক পুলিশ মতিঝিল বিভাগ
এর আগে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার উদ্ভাবিত করোনার টিকা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে বাংলাদেশে পৌঁছায়। এ টিকা ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার পর আজ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হলো।
গতকাল মঙ্গলবার ভারত থেকে আসা টিকা পরীক্ষা-নিরীক্ষায় নিরাপদ প্রমাণিত হওয়ায় ব্যবহারের অনুমতি দেয়ার কথা জানানো হয়। সরকারের ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান জানান, প্রথম চালানের ৫০ লাখ ডোজ ব্যবহারের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
নিবন্ধন প্রক্রিয়া
এদিকে টিকাদান ব্যবস্থাপনার অ্যাপ ও ওয়েবসাইট আজই চালু হয়েছে বলে জানানো হয়। টিকা নিতে আগ্রহীদের অনলাইনে নিবন্ধন করতে বলা হয়েছে।
ইতোমধ্যে দেশে সেরামের টিকার ৭০ লাখ ডোজ এসে পৌঁছেছে। এর মধ্যে গত ২০ জানুয়ারি ভারত সরকারের পক্ষ থেকে উপহার হিসেবে এসেছে ২০ লাখ ডোজ। বাকি ৫০ লাখ গত সোমবার এসেছে। এগুলো বাংলাদেশ সরকারের কেনা।
সবশেষ দেয়া তথ্য মতে, প্রতিমাসে ৫০ লাখ করে মোট ৩ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন বাংলাদেশে আসবে।