যৌথ বাহিনীর কমান্ডোদের অভিযান চলছে গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁতে। সকাল সাতটা ৪০ মিনিটের পর শুরু হয় চূড়ান্ত অভিযান। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (সকাল নয়টা ১৫) ১২জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। নিহত হয়েছে পাঁচজন। নিহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
এ দিকে অভিযান শুরুর আধঘণ্টা আগেই আইএসের কথিত মিডিয়া আমাক নিউজে রেস্তোরাঁর ভিতরে হত্যা করা লোকদের ছবি প্রকাশ করা হয়। আমাক নিউজ থেকে পাওয়া ছবি টুইটারে প্রকাশ করা হয়। ছবিগুলোতে অন্তত ১৫ জনের মৃতদেহ চিহ্নিত করা গেছে। রক্তাক্ত ছবিগুলো টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের হাতেও এসেছে। তবে অত্যন্ত বিভৎস হওয়ায় ছবিগুলো প্রকাশ করা হলো না।
এ দিকে অভিযান শুরুর ৪৫ মিনিটের মধ্যেই পুরো পরিস্থিতি আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে চলে আসে বলে উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো হামলাকারীকে জীবিত উদ্ধার করা গেছে কিনা তা জানানো হয়নি।
এর আগে দীর্ঘ ১১ ঘণ্টা জিম্মি অবস্থায় থাকেন ভিতরের লোকেরা। এর মধ্যে হামলাকারিদের আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয়া হয়। কিন্তু তারা আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এই নির্দেশে সাড়া দেয়নি। এরপরই মূলত স্বশস্ত্র অভিযানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জানা যায়, ভিতরে ২০ জনের বেশি সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই বিদেশি নাগরিক। ইতালি সরকার তাদের অন্তত সাতজন নাগরিক সেখানে আছেন বলে দাবি করেছে। ভারতও দাবি করেছে যে, তাদের বেশ কয়েকজন নাগরিক ওই রেস্তোরাঁতে থাকতে পারেন। এ ছাড়া জাপানও মনে করছে, ঘটনাস্থলে তাদের কয়েকজন নাগরিক আছেন।
শুক্রবার দিবাগত রাত নয়টার দিকে গুলশান সংকটের শুরু হয়। ঘটনার শুরুতে আট থেকে ১০ জন অস্ত্রধারী যুবক হলি আর্টিজান নামের এই স্প্যানিশ রেস্তোরাঁতে ঢুকে সবাইকে জিম্মি করে ফেলেন। এরপর দ্রুত সেখানে আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী অবস্থান নেয়। চূড়ান্ত অভিযানে র্যাপ, পুলিশ, বিজিবি, সোয়াত এবং সেনাবাহিনীর কমান্ডোরা অংশগ্রহণ করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যে অভিযান সমাপ্তি ঘোষণা করা হতে পারে।