গুলশানের হলি আর্টিজান রেস্তোরাঁয় হামলাকারীদের যে ছবি সাইট ইন্টেলিজেন্স প্রকাশ করেছে, তাদের ব্যক্তিগত পরিচয় ওঠে আসছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তাদের স্কুল-কলেজ সূত্রে পরিচিতজনরা এবং ফেসবুক বন্ধুরা তাদের পরিচয় তুলে ধরছেন।
তবে তা এখন পর্যন্ত ফেসবুকেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। হামলাকারীদের সংক্ষিপ্ত নাম ও মৃতদেহের ছবি ছাড়া সরকারিভাবে আর কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি। ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে যাওয়া ছবিগুলো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে দেয়া হয়েছে কি না, সে ব্যাপারে টোয়েন্টিফোর লাইভ নিউজপেপারের কাছে এখন পর্যন্ত কোনো তথ্য নেই।
হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত ওই পাঁচজনের একজনের নাম নিব্রাস ইসলাম। তার সহপাঠীরা জানাচ্ছেন, তিনি ঢাকার একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্র। তার ফেসবুক টাইমলাইনে দেখা গেছে তিনি মালয়েশিয়ার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন। কিন্তু তার টাইমলাইনটি এখন অকার্যকর হয়ে গেছে।
ওই পাঁচজনের আরেকজনের নাম মীর সাবিহ মুবাশ্বের। তিনি স্কলাসটিকার ছাত্র। মাত্র ও- লেভেল সম্পন্ন করা মুবাশ্বের গত মার্চে বাড়িত থেকে বের হয়ে যান। এ ব্যাপারে তার বাবা মীর এ হায়াত কবীর গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেন। ধারণা করা হচ্ছে, বাড়ি থেকে বের হয়েই সন্ত্রাসী সংগঠনের দীক্ষা নেন তিনি।
আরেক হামলাকারীর ছবিকে ফেসবুকের পরিচিতজনরা চিহ্নিত করেছেন রোহান ইমতিয়াজ নামে। সাইট ইন্টেলিজেন্স হামলাকারীদের ছবি প্রকাশ করার পর রোহানের বন্ধুরা তার পরিচয় ফেসবুকে তুলে ধরেন।
এ ছাড়া মাহবুব রাজীব নামে আরেকজনের ছবিও ফেসবুকে তার পরিচিতরা তুলে ধরেছেন। আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গুলশানে হামলাকারীদের যে সংক্ষিপ্ত নাম প্রকাশ করেছে, তার সঙ্গে ফেসবুকে পাওয়া নামের কোনো মিল নেই। ধারণা করা হচ্ছে, তারা ছদ্মনামে পুলিশের খাতায় তালিকাবদ্ধ হয়েছেন অথবা পুলিশ তাদের ছদ্মনামগুলোই কেবল প্রকাশ করেছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার রাতে গুলশানে হলি আর্টিজানে সাতজন হামলা চালান। যুবকেরা রেস্তোরাঁটিতে ঢুকে দেশি-বিদেশি অনেক লোককে জিম্মি করেন। পরে 'থান্ডার বোল্ট' কমান্ডো অভিযানের মধ্য দিয়ে জিম্মি সঙ্কটের অবসান হয়। পুরো ঘটনায় ২০ জিম্মি, ছয় সন্ত্রাসী ও দুই পুলিশ কর্মকর্তা নিহত হন এবং কমপক্ষে ৪০ জন পুলিশ আহত হন।