আড়াই হাজার স্বাধীনতাবিরোধীর তালিকা: রংপুর থেকেই ১৬০৭ জন

জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও যুদ্ধকালীন মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডারদের কাছে স্বাধীনতাবিরোধীদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা চেয়ে চিঠি দেয়া হয়েছিল। সেই প্রেক্ষিতে এখন অবধি দুই হাজার ৫০৪ জনের নাম পাওয়া গেছে।

জাতীয় সংসদ ভবন

এর মধ্যে বৃহত্তর রংপুর জেলা থেকেই ১৬০৭ জন। আর বাকি ৮৯৭ জন দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সেখানে পেশ করা কার্যপত্র থেকে জানা যায়, এখন পর্যন্ত রাজাকার ও স্বাধীনতাবিরোধীদের তালিকা যা পাওয়া গেছে সেটাই দ্রুত সময়ের মধ্যে গেজেট আকারে প্রকাশ করা হবে। বৈঠকে এ সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি।

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব (কাউন্সিল অফিসার) মো. জাহাঙ্গীর হোসেন স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনে বলা হয়, স্বাধীনতাবিরোধীদের সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। তাদের কাছ থেকে তালিকা পাওয়া গেলে যাচাই-বাছাইপূর্বক গেজেট আকারে প্রকাশের অনুরোধ জানিয়ে মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের কাছে পাঠানো হবে।

এ বিষয়ে সংসদীয় কমিটির সভাপতি ও সাবেক নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, যাচাই-বাছাই অনির্দিষ্টকাল চলতে পারে না। তাই এটাকে নিয়মিতকরণ বলে সংজ্ঞায়িত করে প্রক্রিয়াটি দ্রুত সম্পন্নের সুপারিশ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা ও ঔষধ কেনার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ বৃদ্ধির ব্যবস্থা গ্রহণ করতে কমিটি সুপারিশ করেছে।

সংসদীয় কমিটির বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, মেজর (অব.) রফিকুল ইসলাম, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদসহ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বিভিন্ন সংস্থা প্রধানসহ মন্ত্রণালয় এবং সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।