কাতারভিত্তিক গণমাধ্যম আল-জাজিরায় রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী প্রতিবেদন প্রকাশের দায়ে এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট জুলকারনাইন সামি ও তাসনিম খলিলসহ চারজনের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা গ্রহণ করেননি আদালত। বাদীর কাছে মামলাটি ফেরত দেয়া হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার আইনগত শুনানি শেষে এ আদেশ দেন ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম।
নথি পর্যালোচনা শেষে আদেশে তিনি বলেন, মামলাটি দায়ের করার ক্ষেত্রে নালিশকারীকে সরকার কর্তৃক কোনো ধরনের অথরিটি দেয়া হয়নি। তাই মামলাটি বাদীর কাছে ফিরিয়ে দেয়া হলো।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি এই চারজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগ এনে ঢাকা মহানগর হাকিম আশেক ইমামের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সভাপতি আবদুল মালেক ওরফে মশিউর মালেক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন- আল-জাজিরা টেলিভিশনের ডিরেক্টর জেনারেল মোস্তফা স্যোউয়াগ ও যুক্তরাজ্য প্রবাসী ডেভিড বার্গম্যান।
তারা চারজন
এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে বাংলাদেশ সরকার ও রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে মানহানি করে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে অপপ্রচার চালিয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতামূলক অপরাধে লিপ্ত। তারা অজ্ঞাতনামা সহযোগীদের নিয়ে ভুয়া মিথ্যা তথ্য-সম্বলিত প্রতিবেদন তৈরি করে গত ১ ফেব্রুয়ারি রাতে তা প্রচার করে।
আসামিরা প্রতিবেদনে কোনো সুনির্দিষ্ট ও সুস্পষ্ট বক্তব্য দেয়নি এবং তথ্য-উপাত্ত বা দলিলাদিও উপস্থাপন করেনি। ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে কেবল কিছু ব্যক্তিগত পারিবারিক অনুষ্ঠানাদি ও সাক্ষাৎকারের ছবি ব্যবহার করেছে। এ ছাড়া কণ্ঠস্বর সম্পাদনা করে একটি কাল্পনিক ভুয়া, মিথ্যা ও সাজানো তথ্যচিত্রের প্রতিবেদন তৈরি করে এবং তথ্যপ্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে আল-জাজিরা টেলিভিশনসহ ইউটিউবের মাধ্যমে পুরো বিশ্বে অপপ্রচার করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা দণ্ডবিধির ১২৪/১২৪(এ)/১০৯/৩৪ ধারায় অপরাধ করেছে, মামলায় উল্লেখ করা হয়।