ভ্যাকসিন নেয়ার পর করোনা হলেও কমবে মৃত্যুঝুঁকি

দেশব্যাপী চলছে কোভিড-১৯ টিকা কার্যক্রম। ইতোমধ্যে প্রায় ৩০ লাখ মানুষ করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নিয়েছেন। যার মধ্যে বেশ কয়েকজনের শরীরে আবারও ভাইরাসটির সংক্রমণ দেখা দিয়েছে। তবে প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন।

প্রতিকী ছবি

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. নাসির উদ্দিন গত ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিন নেয়ার পর ১৪ ফেব্রুয়ারি তার করোনা শনাক্ত হয়। অবশ্য তিনি এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন বলে জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা নেয়ার পর ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হওয়া কোনো অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে আশার কথা হলো, শারীরিক কোনো জটিলতা দেখা দেবে না এবং মৃত্যুঝুঁকিও অনেকাংশে কমে যাবে। এমনকি টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার পরও অনেকে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হতে পারেন।

এ বিষয়ে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ভাইরোলজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. জাহিদুর রহমান বলেন, প্রথম ডোজ নেয়ার ২১ দিন পর থেকে এই টিকা ৬০-৭০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে। অর্থাৎ তার আগ পর্যন্ত কোনো নিরাপত্তা দেবে না। পরবর্তীতে দ্বিতীয় ডোজ নেয়ার দুই সপ্তাহ পর আরো সুরক্ষা পাওয়া যাবে। তবে এর ব্যতিক্রমও হতে পারে।

তিনি বলেন, অক্সফোর্ডের টিকার ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ জনের মধ্যে ৬০ জনে এটি কার্যকর হবে। বাকি ৪০ জন সুরক্ষা নাও পেতে পারেন। তাই ভ্যাকসিন গ্রহণ করলেও মাস্ক পরা, হাত ধোয়াসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। অবশ্য টিকা নেয়ার পর সংক্রমিত হলে সেটা তেমন ক্ষতি করবে না।

ব্রিটেনের লেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজিস্ট ড. জুলিয়ান ট্যাং বিবিসিকে বলেন, যে কোনো ভ্যাকসিনের ক্ষেত্রেই প্রথম ডোজ নেয়ার দুই থেকে তিন সপ্তাহ পর সেটি কাজ করতে শুরু করে। টিকা নেয়ার পরদিন বা এক সপ্তাহ পর ভাইরাস শরীরে ঢুকতে পারে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইরোলজি বিভাগের সাবেক প্রধান ও কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, কোভিড-১৯ এর সুপ্তিকাল ১৫ দিন। এই সময়ে কেউ আক্রান্ত হয়ে ভ্যাকসিন গ্রহণ করলে কোনো কাজ হবে না। ভাইরাস তার কাজ চালিয়ে যাবে।