শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু: গিনেস বুকে রেকর্ডের অপেক্ষা

বগুড়ার শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে একশ বিঘা জমিতে দুই জাতের ধান লাগিয়ে তৈরি করা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিটি ফুটে উঠেছে। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এটি পূর্ণাঙ্গ আকৃতি লাভ করবে। এর পরই বিশ্বে শস্য দিয়ে তৈরি কোনো একক ব্যক্তির সবচেয়ে বড় এই ছবিটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে জায়গা করে নেবে।

শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু

জানা গেছে, বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে গঠিত জাতীয় পরিষদের উদ্যোগে এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামে একটি প্রাইভেট কোম্পানির অর্থায়নে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানবকৃষি প্রতিকৃতিটি তৈরি করা হয়েছে।

বর্তমানে চিত্রটি খালি চোখে স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে না। তবুও এটি দেখতে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ সেখানে ভিড় করছেন। অবশ্য ড্রোন দিয়ে ছবি তুললে পুরো চিত্র সুন্দরভাবে ফুটে উঠছে।

স্থানীয় কৃষক শাহীনুর সরকার বলেন, এলাকায় এমন কাজ হবে তা আগে কখনো কেউ চিন্তাও করতে পারেনি। আর এখন এটি দেখার জন্য বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ আসছেন। এমন একজন মহামানবের প্রতিকৃতি তৈরি করায় আমরা সত্যিই গর্বিত।

এ বিষয়ে প্রকল্পটির ব্যবস্থাপক এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের কর্মকর্তা কৃষিবিদ আসাদুজ্জামান বলেন, বঙ্গবন্ধু একজন কৃষকবান্ধব নেতা ছিলেন। তাই জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে তাকে সম্মান জানানোর জন্যই এই শিল্পকর্ম। শস্যচিত্রটিকে গিনেস বুকে জায়গা করে দেয়ার চেষ্টা চলছে। গিনেস কর্তৃপক্ষের শর্ত মেনেই শিল্পকর্মটি করেছি।

প্রকল্পের উপব্যবস্থাপক আহসান কবির বলেন, এ মাসের মাঝামাঝি সময়ে শস্যচিত্রটি পূর্ণাঙ্গ রূপ নিলে প্রয়োজনীয় তথ্য-উপাত্ত গিনেস কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। গত ডিসেম্বরে কাজ শুরু হওয়া শিল্পকর্মটি মূলত দুই রঙের ধান দিয়ে তৈরি। চীন থেকে আনা হয়েছে বেগুনি রঙের হাইব্রিড জাতের ধান এফ-১ এবং ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ারের সবুজ রঙের ধানটির নাম জনকরাজ।

এর আগে গত ১ থেকে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ধানের চারা রোপণ করা হয়। স্থানীয় ১৪০ নারী শ্রমিক এ কাজ করেন। তারও আগে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শতাধিক শিক্ষার্থী ও বিএনসিসি সদস্যরা শুকনো জমিতে প্রায় এক হাজার দুইশ খুঁটি পুঁতে প্রতিকৃতিটির লে-আউট করেন। নকশার দায়িত্বে ছিল এক্সপ্রেশন লিমিটেড।