মানবতাবিরোধী অপরাধ: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড

মহান মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামালপুরের আট রাজাকার-আলবদরের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।

আজ ১৮ জুলাই সোমবার সকালে একই মামলায় অভিযুক্ত আট আসামির মামলার রায় দেন চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। বিচারিক প্যানেলের বাকী সদস্যরা হলেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।

রায় অনুযায়ি ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- আলবদর নেতা মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ও মোহাম্মদ আবদুল বারী।  এছাড়া আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, অ্যাডভোকেট শামসুল আলম ওরফে বদর ভাই যিনি জামালপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির ও সাবেক জামায়াত নেতা এস এম ইউসুফ আলী, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. হারুন ও মোহাম্মদ আবুল হাসেম।

মামলার দুই আসামি অ্যাডভোকেট শামসুল আলম ওরফে বদর ভাই ও সাবেক জামায়াত নেতা এস এম ইউসুফ আলী ছাড়া অন্য ছয় আসামি পলাতক রয়েছেন। এই দুইজন রাজাকার বাহিনীর সদস্য, বাকী ছয় জন আলবদর সদস্য।

অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের সময় হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের মোট পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। আনীত অভিযোগগুলোর মধ্যে তিনটি প্রমাণিত হয়।

এই আট মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিরুদ্ধে আনা উল্লেখযোগ্য অপরাধগুলো হলো, জামালপুরে রাজাকার-আলবদর বাহিনী ও শান্তি কমিটি গঠন, স্থানীয় সাধনা ঔষধালয় দখল করে আলবদর বাহিনী ও শান্তি কমিটির কার্যালয় স্থাপন এবং সিংহজানি হাইস্কুলে আলবদরদের প্রশিক্ষণ প্রদান। পাশাপাশি পিটিআই হোস্টেল ও আশেক মাহমুদ কলেজের ডিগ্রি হোস্টেল দখল করে নির্যাতন কেন্দ্র গড়ে তোলা। সেখানে প্রায় ১০ হাজারের বেশি মানুষকে হত্যা করা হয়।

আপনি আরো পড়তে পারেন

সন্দেহভাজন ৪ জঙ্গি আটক, প্রেমিকার কাছে লেখা চিঠি উদ্ধার

সেবায়েত ও চিকিৎসক হত্যার দায় স্বীকার করেছে ২ যুবক

হলি আর্টিসানের মালিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা

শিক্ষামন্ত্রী: সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেই বাংলা বাধ্যতামূলক করা হবে

বেনজির: পিছন থেকে কারা খেলছে, আমরা জানি