দেশে মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যাওয়ার প্রেক্ষাপটে ১৮ দফা নির্দেশনা জারির পর এক সপ্তাহের ‘লকডাউন’ চলছে। চলমান নির্দেশনার অংশ হিসেবে সকল প্রকার গণজমায়েত নিষিদ্ধ এমনকি মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি ও শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে নামাজ আদায়ের কথা বলা হয়েছে।
বায়তুল মোকাররম মসজিদের সামনে হেফাজতের বিক্ষোভ সমাবেশ, ফাইল ছবি
তবে মসজিদে নামাজ আদায় এবং অন্যান্য উপাসনালয়ে প্রার্থনা করার ক্ষেত্রে এবার আরো কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে। বলা হয়েছে, সারাদেশের সব মসজিদে জুমা, ওয়াক্তের নামাজ এবং অন্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে প্রার্থনার আগে ও পরে গণজমায়েত নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। এ ছাড়া আরো কিছু নির্দেশনা দিয়েছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
আজ বুধবার ধর্ম মন্ত্রণায় থেকে সব ধর্মপ্রাণ ব্যক্তিকে এসব নির্দেশনা পালনের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
নির্দেশনাগুলো হলো-
# জুমার নামাজ ও অন্যান্য ওয়াক্তের নামাজ এবং প্রার্থনার আগে ও পরে মসজিদ এবং অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ে কোনো প্রকার গণজমায়েত বা সভা-সমাবেশ করা যাবে না।
# তারাবিসহ অন্য নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রে মসজিদে সামাজিক তথা শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে এবং মানতে হবে স্বাস্থ্যবিধি। একই সঙ্গে দেশের অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়েও একই নির্দেশনা মেনে প্রার্থনা করতে হবে।
# প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে যে ১৮ দফা নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের নির্দেশনা অনুযায়ী ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয় যেসব নির্দেশনা জারি করেছে, সেসব নির্দেশনা সংশ্লিষ্ট সবাইকে মেনে চলতে হবে।
এতে বলা হয়, এসব নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে স্থানীয় প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী।
মরণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ প্রতিরোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মীয় উপাসনালয়ের পরিচালনা কমিটি যাতে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়নে ব্যবস্থা নেন সেজন্য নির্দেশনায় সংশ্লিষ্ট্রদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।