কাদের: পণ্যবাহী গাড়ি যেন যাত্রীবাহীতে রূপ না নেয়

করোনাভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ রুখতে আগামী ১৪ থেকে ২১ এপ্রিল পর্যন্ত দেশে সর্বাত্মক লকডাউনের ঘোষণা দিয়েছে সরকার। ৮ দিনের এই লকডাউনে পণ্য পরিবহন, উৎপাদন ব্যবস্থা ও জরুরি সেবা ছাড়া সকল প্রকার পরিবহণ বন্ধ থাকবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সতর্ক করেছেন, এ সময় পণ্যবাহী পরিবহন যেন যাত্রীবাহীতে রূপ না নেয়।

ওবায়দুল কাদের

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটির (বিআরটিএ) সঙ্গে মতবিনিময়কালে এমন মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের। রাজধানীর সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই মতবিনিময় সভায় যুক্ত হয়েছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন- অতীতে বিধিনিষেধ জারি করার পর আমরা দেখেছি, অনেকেই পণ্যবাহী পরিবহন দিয়ে চলাচল করেছেন। এমনকি ড্রামের মধ্যে লুকিয়ে থেকে গন্তব্যে পৌঁছার ঘটনাও ঘটেছে। এসব চললে লকডাউনের উদ্দেশ্য সাধন হবে না। এমন অনিয়ম বন্ধে মনিটরিং জোরদার করার আহ্বান জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী।

আজ সোমবার (১২ এপ্রিল) জারি করা ‘কঠোর লকডাউনের’ প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে- সব ধরনের পরিবহন তথা সড়ক, নৌ, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ থাকবে। যেহেতু স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় শিল্প-কারখানাগুলো চালু থাকবে, সেক্ষেত্রে স্ব স্বপ্রতিষ্ঠান থেকে নিজস্ব পরিবহন ব্যবস্থাপনায় শ্রমিকদের আনা-নেওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

প্রজ্ঞাপনের একাংশে বলা হয়, অতি জরুরি প্রয়োজন যেমন-ওষুধ ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি ক্রয়, চিকিৎসা সেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি ছাড়া বাড়ির বাইরে কোনোভাবেই বের হওয়া যাবে না। তবে করোনার টিকা কার্ড প্রদর্শন সাপেক্ষে টিকা গ্রহণের জন্য যাতায়ত করা যাবে।