বেগুনে সেঞ্চুরি!

একদিকে চলছে পবিত্র রমজান মাস। যে মাসে একমাত্র বাংলাদেশেই সাধারণত বেড়ে যায় পণ্যের দাম। অন্যদিকে করোনার সংক্রমণ রোধে চলছে দেশজুড়ে লকডাউন। এতে বাজারে পণ্যের দামে যেন আগুন লেগেছে। আজ শুক্রবার বাজারে প্রতি কেজি বেগুন ১০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।

বেগুনে সেঞ্চুরি!

এ ছাড়া সপ্তাহের ব্যবধানে আজ অন্যান্য সবজির দামও বেড়েছে রাজধানীর বাজারগুলোতে। আদা ও পেঁয়াজেরও দাম বেড়েছে। তবে কিছুটা কমেছে মুরগির দাম। অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, ভোজ্যতেল, চালসহ অন্য পণ্যের দাম।

আজ শুক্রবার রাজধানীর মিরপুরের ১১ নম্বর বাজার, মিরপুর কালশী বাজার, শ্যাওড়াপাড়া বাজার, বেলতলা বাজার ঘুরে এমন চিত্র লক্ষ করা গেছে।

আজ বাজারে প্রতি কেজি বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। এ ছাড়া গাজর ৩০-৪০ টাকা, শিম ৩০-৪০ টাকা, টমেটো ৩০-৪০ টাকা, বরবটি ৬০ টাকা, করলা ৫০-৬০ টাকা, মুলা ৪০ টাকা, ঢেঁড়শ ৫০-৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

প্রতি পিস লাউ আকারভেদে ৫০-৬০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ২৫-৩০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০-৬০ টাকা, আলু ২০ টাকা, পটল ৫০-৬০ টাকা, কচুর লতি ৬০ টাকা, সাজনা ৫০-৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ৩৫-৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি পেঁয়াজ।

প্রতি ডজন লাল ডিম ৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৩৫ টাকা। প্রতি ডজন দেশি মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা।

বাজারে মুরগির দাম কিছুটা কমেছে

২০ টাকা দাম কমে প্রতি কেজি সোনালি (কক) মুরগি ২৭০-২৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া ব্রয়লার মুরগি ১৪৫-১৫০ টাকা এবং লেয়ার মুরগি ২১০-২২০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

অন্যদিকে, অপরিবর্তিত আছে গরু ও খাসির গোশতের দাম। এ ছাড়া মসলাসহ অন্যান্য পণ্যের দামও প্রায় অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি কেজি খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০-৭৫০ টাকায়। আর গরুর মাংস ৫৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।

এ বিষয়ে মিরপুর-১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা আমিরুল ইসলাম জানান, রোজা শুরুর আগে ও রোজার প্রথম দিন বাজারে মুরগির দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা কমেছে। তবে ২০ রোজার পর আবারো বাড়তে পারে মুরগির দাম। কারণ তখন চাহিদা বেড়ে যাবে।