আপনি পড়ছেন

পবিত্র মাহে রমজানে আল আকসা মসজিদে মুসলমানদের নির্মমভাবে নির্যাতনের ঘটনা মুসলিমে বিশ্বকে আরো একবার হতবাক-হতবিহ্বল করেছে। সেখানে নামাজরত ফিলিস্তিনি মুসলমানদের ওপর হামলা ও গ্রেপ্তারের ঘটনায় মুসলমানদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে।

azhari not a team agent or product

এ প্রসঙ্গে আল আকসার ইতিহাস-ঐতিহ্য এবং ভবিষ্যত নিয়ে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাস লিখেছেন বাংলাদেশের জনপ্রিয় ওয়ায়েজ এবং মুসলিম মোটিভেশনাল স্কলার ড. মিজানুর রহমান আজহারি।

সোমবার বিকেলে আজহারি তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে ‘হামাগুড়ি দিয়ে হলেও আমরা পৌঁছুব ইনশাআল্লাহ’ শিরোনামে এ স্ট্যাটাসটি শেয়ার করেন। এটি মূলত তার প্রথম বই ‘ম্যাসেজ: আধুনিক মননে দ্বীনের ছোঁয়া’ বইয়ের একটি দীর্ঘ প্রবন্ধ। প্রবন্ধটি বইটির দ্বিতীয় সংস্করণের ২৪৪ থেকে ২৪৬ পৃষ্ঠায় পাওয়া যাবে।

আজহারি লেখেন মসজিদুল আকসা বা বাইতুল মুকাদ্দাস ইসলামের তৃতীয় পবিত্রতম মসজিদ। যেটি জেরুসালেমের পুরনো শহরে অবস্থিত। এটা মুসলমানদের কাছে ‘বায়তুল মোকাদ্দাস বা ‘আল আকসা’ মসজিদ নামে পরিচিত। ইসলামি স্থাপনার প্রাচীন এই নমুনাটি মুসলমান, খ্রিস্টান ও ইহুদি তিন ধর্মাবলম্বীদের কাছে সমানভাবে পবিত্র ও গুরুত্বপূর্ণ। ঈসা (আ.) এবং মরিয়ম (আ.) এর সাথে প্রাচীনতম ইবাদত গৃহ বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদে আকসার সম্পর্ক সুনিবিড়ভাবে জড়িত।

mizanur rahman azhari 1

এ মসজিদের গুরুত্ব মুসলমানদের কাছে অনেক বেশি উল্লেখ করে আজহারি লেখেন, মুসলিমদের কাছে পরিচিত আল আকসা মসজিদটি ইহুদিদের কাছে ‘টেম্পল মাউন্ট’ নামে পরিচিত। শেষ জামানার ঘটনাবলীর কারণেও এ এলাকাটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই অঞ্চলেই দাজ্জাল ও ঈসা (আ.) এর আগমন ঘটবে।

মসজিদে আকসার সঙ্গে জড়িত পবিত্র মেরাজের স্মৃতি। বিশ্বনবী (সা.) মিরাজের রাতে মসজিদুল হারাম থেকে আল-আকসা মসজিদে এসেছিলেন এবং এখান থেকেই তিনি ঊর্ধ্বাকাশের দিকে যাত্রা করেন। এ প্রসঙ্গ টেনে আজহারি লেখেন, এ এলাকাটি অসংখ্য নবী–রাসুলের স্মৃতিবিজড়িত, এর আশপাশে অনেক নবী–রাসুলের কবর রয়েছে।

প্রাচীনকাল থেকেই এই অঞ্চলটি ওহি অবতরণের স্থল, ইসলামের কেন্দ্র এবং ইসলামি সংস্কৃতির চারণভূমি ও ইসলাম প্রচারের লালনক্ষেত্র হিসেবে প্রসিদ্ধ। আল আকসা মসজিদের গুরুত্বের আরও একটি বড় কারণ উল্লেখ করতে গিয়ে আজহারি বলেন, এটি মুসলমানদের প্রথম কেবলা ছিলো।

মসজিদে আকসার ঐতিহাসিক বিশ্লেষণের শুরুতে আজহারি লেখেন, বিশুদ্ধ মতানুসারে সর্ব প্রথম আদম (আ.) মসজিদুল আকসার ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করেন। পরবর্তীতে এই মসজিদটি পুনঃনির্মাণ করেছিলেন ইব্রাহিম (আ.) এর সন্তান নবী ইসহাক (আ.) ও পরিপূর্ণ করেছিলেন নবী সুলাইমান আলাইহিস সালাম। বনি ইসরাইলের ধার্মিক লোকজন এই বায়তুল মুকাদ্দাস বা মসজিদুল আকসায় আল্লাহ তায়ালার উপাসনায় মগ্ন থাকতো।

পরবর্তীতে উমাইয়া ও আব্বাসীয় আমলে আল আকাসা মসজিদটি মুসলমানদের অধীনে আসে। সে ইতিহাস উল্লেখ করার পর আজহারি লেখেন, ১০৯৯ খ্রিস্টাব্দে ক্রুসেডাররা জেরুজালেম দখল করার পর তারা মসজিদটিকে একটি প্রাসাদ এবং মসজিদ প্রাঙ্গণে অবস্থিত কুব্বাতুস সাখরাকে গির্জা হিসেবে ব্যবহার করত। মুসলিম বীর সুলতান সালাহউদ্দিন আইয়ুবি জেরুসালেম পুনরায় জয় করার পর মসজিদ হিসেবে এর ব্যবহার পুনরায় শুরু হয়।

আইয়ুবি, মামলুক, উসমানি, সুপ্রিম মুসলিম কাউন্সিল ও জর্ডানের তত্ত্বাবধানে এর নানাবিধ সংস্কার করা হয়। বর্তমানে পুরনো শহরটি ইসরায়েলিদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ইসলামের তৃতীয় বৃহত্তম ঐতিহাসিক এ মসজিদটির ওপর চলছে যায়োনিস্ট ইহুদিদের আগ্রাসন।

maolana mizanur rahman azhari

অবৈধভাবে গড়ে ওঠা রাষ্ট্র ইসরায়েল ১৯৬৭ সালে ‘মসজিদুল আকসা’ জবরদখল করে নেয়। এরপর থেকে সেখানকার মুসলিম জনগণ মুক্তি ও স্বাধীনতার জন্য তাদের সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জায়ানবাদী ইসরায়েল একের পর এক মুসলিম–অধ্যুষিত এলাকা জবরদখল করে ইহুদি বসতি সম্প্রসারণ অব্যাহত রাখে।

মসজিদে আকসা পুনরায় মসুলমানদের হাতে ফিরিয়ে দেওয়ার দোয়া করে আজহারির স্ট্যাটাস শেষ হয়। তিনি লেখেন, আমরা মহান আল্লাহ তা’আলার দরবারে কায়মনোবাক্যে ফরিয়াদ জানাই, তিনি যেন আবারো আমাদেরকে কুদস বিজয়ের তাওফিক দেন এবং মসজিদুল আকসা পুনরুদ্ধার করার হিম্মত নসিব করেন।

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.