করোনাভাইরাসের সবশেষ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন যে গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে তাতে এটিকে সুনামির সঙ্গে তুলনা করতে গিয়ে দ্বিতীয়বার ভাবেননি গবেষকরা। তবে একটি পয়েন্টে বিশেষজ্ঞরা একমত- ভ্যারিয়েন্টটি সবচেয়ে বেশি ছড়িয়ে পড়লেও এতে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হবে খুবই কম। বিশিষ্ট অণুজীব বিজ্ঞানী ড. বিজন কুমার শীলও তেমনই মতামত ব্যক্ত করেছেন।
ড. বিজন কুমার শীল
মানবজমিনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে গণবিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের এই চেয়ারম্যান বলেন, ওমিক্রনের এই সংক্রমণ আরও বাড়বে। আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে এটি ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করার কথা। এপ্রিলের পরে গিয়ে সংক্রমণ নামতে থাকবে এবং আশা করা যায়, আগামী সেপ্টেম্বরে গিয়ে আমরা এই প্যান্ডেমিকের এন্ডিং দেখতে পাবো।
ড. বিজন বলেন, করোনার এই ধরনটি ‘ভারে কাটছে, ধারে নয়’। এটা মানুষের ফুসফুসকে খুব বেশি আক্রান্ত করতে পারছে না। এখনো যারা করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন এবং মারা যাচ্ছেন তাদের প্রায় সবাই ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত, ওমিক্রনে নয়। পরিসংখ্যান ঘাটলেও ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর খবর খুব একটা পাওয়া যাবে না।
‘বিজ্ঞানীদের মধ্যে ওমিক্রন নিয়ে উদ্বেগ যতটা দেখা গেছে, তার চেয়ে বেশি দেখা গেছে স্বস্তি। তারা বলছেন, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে শরীরে যে এন্টিবডি তৈরি হবে, সেটাই পরবর্তীতে ওই ব্যক্তিকে রক্ষা করতে সহায়তা করবে। এটা বিশ্ববাসীর জন্য দারুণ এক খবর। তবে সাবধানের মার নেই, চেষ্টা করতে হবে, সংক্রমণটা যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখা যায়।’ উল্লেখ করেন ড. বিজন।