ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের, ডিএনসিসি, মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, দখলদারদের জন্য কোনো বৈধ নোটিশ দেবে না সিটি করপোরেশন। যারা করপোরেশনের জায়গা দখল করেছে, তারা কিন্তু ঠিকই জানে যে, তারা দখলদার। সুতরাং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে তাদের নোটিশ দেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
মেয়র আতিকুল ইসলাম
তিনি আরো বলেন, যে যত বড়ই ক্ষমতাবানই হোক, অবৈধভাবে কোনো কিছু দখল করে রাখতে পারবে না তারা। আমরা যে অভিযান শুরু করেছি, তা অব্যাহত থাকবে। রাজধানীর বসিলা এলাকায় লাউতলা খালের জায়গা দখল করে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকালে আজ রোববার, ২৩ জানুয়ারি, এসব কথা বলেন ডিএনসিসি মেয়র।
ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতাকাব্বীর আহমেদের নেতৃত্বে এদিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এই অভিযান শুরু হয়। এ সময় নিজে উপস্থিত থেকে অভিযান শুরু করেন ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম। খালের জায়গার ওপর অবৈধভাবে গড়ে উঠা নির্মাণাধীন একটি মার্কেটের দোকান ভেঙে ফেলার মাধ্যমে এই অভিযান শুরু হয়। দিনব্যাপী এই অভিযান চলার কথা।
রাজধানীর বসিলা এলাকায় লাউতলা খালে ডিএনসিসির অভিযান
প্রসঙ্গত, এর আগে রাজধানীর সব নালা ও খাল ওয়াসার দায়িত্বে ছিল। তবে ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বর তা ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই ডিএনসিসির আওতায় থাকা খালগুলো থেকে ক্ষতিকর বর্জ্য অপসারণ এবং অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আসছে সংস্থাটি।
জানা যায়, ডিএনসিসি পক্ষ থেকে খাল উদ্ধার করে পানির প্রবাহ ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি খালের রূপ বদলে দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ইব্রাহিমপুর খাল, রামচন্দ্রপুর খাল, সাগুফতা খাল, রূপনগর খাল এবং গোদাগারি খালসহ ১৪টি খাল থেকে বর্জ্য অপসারণের কাজ করেছে ডিএনসিসি। চারটি নদীর সাথে এ খালগুলোর সংযোগ স্থাপনের মাধ্যমে পানির প্রবাহ ঠিক রাখার পাশাপাশি বর্ষাকালে জলাবদ্ধতা দূর করতে ডিএনসিসি।