মিশা সওদাগর ও জায়েদ খানের বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে মামলা করার ঘোষণা দিয়েছেন বিশিষ্ট অভিনেতা মহিউদ্দিন আহমেদ আলমগীর। মঙ্গলবার, ২৫ জানুয়ারি, এফডিসিতে ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুন পরিষদের পরিচিতি সভায় এ কথা বলেন তিনি।
মিশা-জায়েদের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা নায়ক আলমগীরের
প্রযোজক ও পরিচালক আলমগীর বলেন, আমি দেখলাম— মিশা-জায়েদ প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক একটি ফাইল তুলে দেখাচ্ছেন এবং বলছেন, ‘এখানে আলমগীর ভাইদের স্বাক্ষর আছে।’ ওই ফাইলটা একটু দেখতে চাই আমি। আমি এখনো জানি না, তারা কী করেছে, তবে মনে হয়, ফটোকপির মতো একটা কিছু হয়তো করেছে। এটার জন্য আমি তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি কেস, মামলা, করব।
তিনি আরো বলেন, আমাদের নাকি সব সময় ওরা প্রশাসনের ভয় দেখায়। অনেক বাজে কথা বলে, নানা মিথ্যা কথা বলে আমাদের নামে। তবে এবার মনে হয় একটু ভুল করেছে। একদম সিরিয়াসলি আমি এটার বিরুদ্ধে অ্যাকশন নেব। আমি উজ্জ্বল, নায়ক উজ্জ্বল, ভাইয়ের সঙ্গেও কথা বলেছি। দরকার হলে একাই ব্যবস্থা নেব।
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ১৭তম নির্বাচন আগামী ২৮ জানুয়ারি এফডিসিতে অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচন উপলক্ষে চলছে প্যানেল পরিচিতি। এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে দুটি প্যানেল। একটি কাঞ্চন-নিপুণ প্যানেল এবং অন্যটি মিশা-জায়েদ প্যানেল।
তবে নির্বাচনের আগে যে ঘটনাটি বড় ইস্যু হয়ে দাঁড়িয়েছে, সেটি হলো শিল্পী সমিতি থেকে ১৮৪ জন শিল্পীর ভোটাধিকার হারানো। বিগত মিশা-জায়েদ কমিটি তাদের ভোটাধিকার হরণ করেছে। কিন্তু মিশা-জায়েদের দাবি, তারা একা এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি, বরং সমিতির ২১ জন কেবিনেট মেম্বার এবং উপদেষ্টা কমিটির সম্মতিতেই তাদের ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে।
ওই উপদেষ্টা কমিটিতে ছিলেন— আলমগীর, ফারুক, সোহেল রানা এবং ইলিয়াস কাঞ্চন। অপরদিকে, চিত্রনায়ক রিয়াজ ও নায়িকা নিপুণ ছিলেন কেবিনেট মেম্বার। গত ২৩ জানুয়ারি মিশা-জায়েদ প্যানেল পরিচিত সভায় জায়েদ খান সবার সামনে একটি কাগজ দেখান। যেখানে ১৮৪ জনের ভোটাধিকার হরণের সিদ্ধান্তে সম্মতি জানিয়ে স্বাক্ষর করা আছে। মঙ্গলবার সেই কাগজের কথা উল্লেখ করেই মামলার ঘোষণা দেন অভিনেতা আলমগীর।