হজযাত্রার সকল প্রকার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে সরকার। গত ১১ মে আগের হজযাত্রার তুলনায় টাকার পরিমাণ বাড়িয়ে তিনটি প্যাকেজের চূড়ান্ত ঘোষণা দিয়েছিলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। এবার সেসব প্যাকেজের সঙ্গে আরও ৫৯ হাজার টাকা করে বাড়ানো হলো।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান
আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) সচিবালয়ে হজ ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত নির্বাহী কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের পর গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল। তিনি বলেন, আমরা যখন প্যাকেজ ঘোষণা করেছি তখন বলে দেওয়া হয়েছে, সৌদি সরকার যদি কোনো অতিরিক্ত চার্জ আদায় করে তাহলে সেটা ঘোষিত প্যাকেজের সঙ্গে যুক্ত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমাদের এ সংক্রান্ত আশঙ্কাটাই সত্যি হলো। সৌদি আরবের কাছ থেকে প্রকৃত খরচের বিবরণী পাওয়ার আগেই সম্ভাব্য হিসেবে করে প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। গতকাল ২৫ মে সৌদি কর্তৃপক্ষ ব্যয়ের যে বিবরণী প্রকাশ করেছে তাতে আমাদের প্যাকেজগুলোর সঙ্গে ৫৯ হাজার টাকা করে যোগ হবে। এটা হাজীরাই বহন করবেন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়
গত ১১ মে সরকারিভাবে দুটি এবং বেসরকারিভাবে একটি প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছিল। সরকারিভাবে প্যাকেজ-১ এর খরচ নির্ধারণ করা হয় ৫ লাখ ২৭ হাজার ৩৪০ টাকা এবং প্যাকেজ-২ এর খরচ ৪ লাখ ৬২ হাজার ১৫০ টাকা। বেসরকারিভাবে যে প্যাকেজ চূড়ান্ত করা হয়, তার খরচ ৪ লাখ ৫৬ হাজার ৬৩০ টাকা। এবার এই টাকার সঙ্গে যোগ হবে আরও ৫৯ হাজার টাকা।
এর আগে ২০১৯ সালে বাংলাদেশ থেকে হজে গিয়েছিলেন মুসলমানরা। তখন প্যাকেজ-১ এর মূল্য ছিল ৪ লাখ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা। প্যাকেজ-২ এর মূল্য ছিল ৩ লাখ ৪৪ হাজার টাকা।
চলতি বছর ১০ লাখ মানুষকে হজের অনুমতি দিয়েছে সৌদি আরব সরকার। এর মধ্যে ৮৫ শতাংশ অর্থাৎ সাড়ে ৮ লাখ বহির্বিশ্বের এবং ১৫ শতাংশ বা দেড় লাখ সৌদি আরবের বাসিন্দা। হজযাত্রীদের জন্য এবার দুটি শর্ত দেওয়া হয়েছে। একটি হলো হজযাত্রীদের বয়স হতে হবে ৬৫ বছরের নিচে। অপরটি হলো হজযাত্রীদের সঙ্গে সৌদি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অনুমোদিত করোনার টিকার কার্ড থাকতে হবে।