আপনি পড়ছেন

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারির কারণে দেশে দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ রয়েছে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ব্যতিক্রম নয় পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে চায় সরকার। কিন্তু বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে অনেক শিক্ষার্থী স্মার্টফোন ক্রয় করার মতো আর্থিকভাবে সচ্ছল নয়। তাই অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সকলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে আর্থিকভাবে অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রণয়নের নির্দেশনা দিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)।

smartphone imageঅনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম- প্রতীকী ছবি

আজ রোববার ইউজিসির পক্ষ থেকে পাঠানো তিনটি পৃথক চিঠিতে এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মো. কামাল হোসেন স্বাক্ষরিত চিঠিগুলো দেশের ৪৫টি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পাঠানো হয়।

এ বিষয়ে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমান সংকটময় পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের সুরক্ষিত রাখতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ রয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইনের মাধ্যমে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করতে চায় সরকার।

ugc office logoবিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)

এ বিষয়ে গত ২৫ জুলাই এক ভার্চুয়াল সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে আলোচনা করে ইউজিসি। সেখানে উপাচার্যরা এ বিষয়ে বিভিন্ন মতামত তুলে ধরেন। তাদের মতামতের ভিত্তিতে সকল শিক্ষার্থী যাতে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে পারে, সে জন্য শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে ডাটা সরবরাহ, উচ্চগতির ইন্টারনেট সুবিধাসহ স্মার্টফোন কিনতে সহজ শর্তে লোনের সুবিধা বিধানে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে চিঠি দেয় ইউজিসি।

এতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করলে যাতে সকল শিক্ষার্থী এতে অংশ নিতে পারে, তাই স্মার্টফোন ক্রয়ের জন্য সহজ শর্তে লোন দেওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। তাই যেসব শিক্ষার্থীদের স্মার্টফোন ক্রয়ের মতো সচ্ছলতা নেই, শুধু তাদের নির্ভুল তালিকা প্রস্তুত করে সেটি আগামী ২৫ আগস্টের মধ্যে This email address is being protected from spambots. You need JavaScript enabled to view it. ই-মেইল পাঠানোর জন্য উপাচার্যদের অনুরোধ করা হয়েছে।