আপনি পড়ছেন

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় মুক্তিযোদ্ধা, উপজাতি, আনসার-ভিডিপি, প্রতিবন্ধী ও জেলা কোটা বাতিল করা হয়েছে। শুধু নারী, পুরুষ ও পোষ্য কোটা বহাল থাকছে। সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিকে সহকারী শিক্ষকদের পদ ১৩তম গ্রেড ঘোষণা হওয়ায় কোটা তুলে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর (ডিপিই)।

primary education exam

আজ রোববার ডিপিই সূত্র জানায়, সারাদেশে ২৫ হাজার ৩০০ জন প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষক ও ১০ হাজার শূন্যপদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে তা শেষ করতে ওয়েবসাইট আধুনিকায়ন করা হচ্ছে। সবকিছু ঠিক থাকলে সেপ্টেম্বরের শেষে অথবা অক্টোবরের শুরুর দিকে নিয়োগ কার্যক্রম শুরু হবে।

জানা গেছে, নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে ইতোমধ্যে ডিপিই থেকে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি তৈরি করে তা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। এতে আগের সব কোটা বাতিল করে শুধু নির্ধারিত ৬০ শতাংশ নারী, ২০ শতাংশ পুরুষ এবং ২০ শতাংশ পোষ্য কোটা বহাল রাখা হয়েছে। চলতি মাসের শেষে অথবা অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে তারপর অনলাইন আবেদনের জন্য এক মাস সময় দেয়া হবে।

এ বিষয়ে আজ রোববার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (বিদ্যালয়) এ এম মনসুর আলম গণমাধ্যমকে জানান, নতুন প্রক্রিয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা উন্নয়ন প্রকল্প-৪ (পিইডিপি) এর আওতায় প্রাক-প্রাথমিক স্তরে ২৫ হাজার ৩০০ জন শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে প্রকল্পের মেয়াদ শেষে এ স্তরের শিক্ষকদের রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। এ ছাড়া শূন্য পদে আরো ১০ হাজার সহকারী শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। শিগগিরই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।

সর্বশেষ সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগে সব কোটা বাতিল করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নতুন বিধিমালা অনুযায়ী শুধু নারী, পোষ্য ও পুরুষ কোটা বহাল থাকবে।