আপনি পড়ছেন

মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি পুরো বিশ্ব। এর মধ্যেই কুয়েত সরকার ঘোষণা করে যে, ১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত যেসব অবৈধ অভিবাসী কুয়েত ছাড়তে চাইবে তাদের সাধারণ ক্ষমা করা হবে। কোনো জেল-জরিমানা হবে না, বরং সবাইকে বিনামূল্যে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেয়া হবে।

bd workers kwaitকুয়েতের ক্যাম্পে বাংলাদেশিদের মানবেতর জীবন

কিন্তু এক মাস অতিবাহিত হলেও তাদের দেশে ফেরত পাঠানো হয়নি। অত্মসমর্পণ করার পর সবাইকে কুয়েত সিটির বাইরে আবদালিয়া, সেবদি, মাঙ্গাফ ও কসর এই চারটি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে। সেখানে প্রায় সাড়ে ৪ হাজার অবৈধ প্রবাসী বাংলাদেশিও আছেন। তারা সেখানে অত্যন্ত মানবেতর জীবন-যাপন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ক্যাম্পে থাকা বাংলাদেশিরা অভিযোগ করে বলেন, কবে নাগাদ তারা দেশে ফিরতে পারবেন তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কেউ তাদের খোঁজখবর নিচ্ছে না। তাই উপায় না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম দ্বারা ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে ভিডিও পাঠাচ্ছেন তারা।

দূতাবাসের কোনো প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি উল্লেখ করে তারা বলেন, গত ২ মে রবিউল ইসলাম নামের এক বাংলাদেশি আবদালিয়া ক্যাম্পে মৃত্যুবরণ করেন। তার বাড়ি কুমিল্লায়। আর আজ আমরান (৪৩) নামের আরো এক বাংলাদেশি মারা গেছেন। তার বাড়ি চাঁদপুর জেলার হাজীগঞ্জ উপজেলার পূর্ব কাশিরগঞ্জ গ্রামে।

দেশে ফেরার দাবিতে গত কয়েকদিন ধরেই ক্যাম্পগুলোতে বিক্ষোভ করছেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা। সেই বিক্ষোভ দমনে টিয়ারসেল ও রাবার-বুলেট নিক্ষেপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

এ বিষয়ে ব্র্যাকের অভিবাসন কর্মসূচির প্রধান শরিফুল হাসান বলেন, সাধারণ ক্ষমার বিষয়টি জানা আছে। কিন্তু করোনার কারণে সৃষ্ট চলমান এই সংকটে সব ধরনের ফ্লাইট বন্ধ রয়েছে। তাই চাইলেই হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়া যাবে না। তারপরও গত ২৭ এপ্রিল ১২৬ জন এবং ২৮ এপ্রিল ১২১ জন শ্রমিক বিশেষ ফ্লাইটে কুয়েত থেকে দেশে আসেন।