আপনি পড়ছেন

মরণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত যুক্তরাষ্ট্র। সেখানে ইতোমধ্যে ভাইরাসটিতে সংক্রমিত হয়ে অসংখ্য বাংলাদেশি মৃত্যুবরণ করেছেন। এ ছাড়া আক্রান্ত হয়েছেন কয়েক হাজার। বাকিরা সবাই ঘরবন্দি অবস্থায় কোনোরকম দিন কাটাচ্ছেন। এবার তাদের দেশে ফেরাতে বিশেষ ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

qutur airwaz bimanযুক্তরাষ্ট্রে আটকা পড়া বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ ফ্লাইট

আজ বুধবার তথ্যটি নিশ্চিত করে ওয়াশিংটন ডিসিতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রেস মিনিস্টার শামীম আহমেদ বলেন, কাতার এয়ারওয়েজের একটি চার্টার্ড ফ্লাইটে ১৪ অথবা ১৫ মে তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা করবেন।

এ বিষয়ে নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল সাদিয়া ফয়জুননেসা বলেন, দুই শতাধিক বাংলাদেশি ইতোমধ্যে দেশে ফেরার জন্য নাম নিবন্ধন করেছেন। নিজ খরচেই তারা দেশে ফিরবেন। তাদের দেশে ফেরাতে শুধু সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করছে দূতাবাস ও কনস্যুলেট।

তিনি বলেন, যারা নাম নিবন্ধন করেছেন তাদের বিমান ভাড়া বাবদ ২২০০ ডলার করে দিতে হবে। আর যারা এখনো নাম নিবন্ধন করেননি, তাদের আগামী ৮ মের মধ্যে দূতাবাস বা কনস্যুলেটের মাধ্যমে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে।

ওয়াশিংটন ডিসি সংলগ্ন ডালাস এয়ারপোর্ট অথবা নিউইয়র্কের জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে বিশেষ এই ফ্লাইটটি রওনা দেবে জানিয়ে তিনি বলেন, সময়সূচি ঠিক হলে পরবর্তীতে তা জানিয়ে দেয়া হবে। যেসব বাংলাদেশি ওই ফ্লাইট ধরতে চান, তাদের নিজ ব্যবস্থায় বিমানবন্দরে উপস্থিত হতে হবে।

ভ্রমণের আগে অবশ্যই প্রত্যেককে নিজ দায়িত্বে কোভিড-১৯ মুক্ত অথবা কোভিড-১৯ উপসর্গ মুক্ত ডাক্তারি সনদ সংগ্রহ করতে হবে। বিমানযাত্রার ৭২ ঘণ্টার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো হাসপাতাল অথবা চিকিৎসকের কাছ থেকে ওই সনদ সংগ্রহ করতে হবে।

ঢাকা হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের পর নিয়মমাফিক ফের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হবে। এরপর সবাইকে বাধ্যতামূলক দুই সপ্তাহের প্রাতিষ্ঠানিক অথবা হোম কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হবে।