পাপুলকাণ্ডে নড়েচড়ে বসেছে কুয়েত সরকার। বাংলাদেশের এমপি শহিদ ইসলাম পাপুলকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী গ্রেপ্তার করা হয়েছে দেশটির বেশ কয়েকজন শীর্ষ কর্মকর্তাকে। মানব পাচারকারীদের বিন্দুমাত্র ছাড় নয়, এই বলে বেশ কয়েকবার হুঁশিয়ারিও উচ্চারণ করেছে দেশটি। সেই ধারাবাহিকতায় পাপুলের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া শেষে এবার বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধেও মামলা করতে চায় কুয়েত।
কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম
এ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মিডল ইস্ট মনিটর। সেখানে বলা হয়, পাপুলের মানব পাচারের তদন্ত করতে গিয়ে এর বিস্তৃত নেটওয়ার্কের খোঁজ পেয়েছে কুয়েতের গোয়েন্দারা। সেখানে রাষ্ট্রদূতের জড়িত থাকার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তাছাড়া পাপুলের বিরুদ্ধে কুয়েত সরকার ব্যবস্থা নিতে গেলে তার পক্ষে সাফাই গেয়েছিলেন রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম। এ নিয়ে রাষ্ট্রদূতের ওপর ক্ষুব্ধ দেশটির নীতিনির্ধারকরা।
জানা যায়, পাপুলের বিরুদ্ধে যখন কেবল অভিযোগ উঠছে মাত্র, সেই সময় পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলমের কাছে একটি চিঠি পাঠান রাষ্ট্রদূত এসএম আবুল কালাম। সেখানে বলা হয়, ‘এমপি পাপুলকে মানব পাচারকারী উল্লেখ করে কুয়েতের গণমাধ্যমগুলোতে যে সংবাদ ছাপা হয়েছে, সেগুলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।’
এমপি পাপুল
গত ৭ জুন এমপি পাপুলকে মানব পাচার ও অর্থ পাচারের অভিযোগে কুয়েতে গ্রেপ্তার করা হয়। কুয়েতের অপরাধ তদন্ত বিভাগের হাতে প্রয়োজনীয় প্রমাণ থাকার পরও প্রথমে পাপুল দোষ স্বীকার করেননি। পরে রিমান্ডে নিয়ে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদ এবং ভুক্তভোগীদের তার সামনে হাজির করা হলে দেশটির সিআইডির কাছে অপরাধ স্বীকার করে নেন এমপি পাপুল।