আপনি পড়ছেন

মানবপাচারের অভিযোগে কুয়েতের কারাগারে বন্দি বাংলাদেশি সাংসদ কাজী শহিদুল ইসলাম পাপুলের একের পর এক অপকর্মের কথা বেরিয়ে আসছে। এবার জানা গেলে তার এসব অপকর্মে যারা সহায়তা করেছেন তাদের নাম। অর্থাৎ যাদেরকে তিনি ঘুষ দিয়ে এসব অপকর্ম করতেন। তবে মাত্র তিন জনের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

mp papul newকাজী শহিদুল ইসলাম পাপুল

আরব টাইমসের খবরে বলা হয়, পাপুলের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা থাকায় ইতোমধ্যে একজন সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত থাকায় কুয়েতের সংসদ সদস্য সাদৌন হাম্মাদ ও সালাহ খুরশিদের দায়মুক্তি তুলে নিতে পার্লামেন্টের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে দেশটির পাবলিক প্রসিকিউশন। তাদের বিরুদ্ধে ঘুষের বিনিময়ে মন্ত্রণালয় থেকে পাপুলকে সুবিধা পাইয়ে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।

তদন্তকালে পাপুল তাদের অর্থ দেয়ার কথা স্বীকার করেছেন জানিয়ে কুয়েতের পাবলিক প্রসিকিউশন থেকে বলা হয়, বাংলাদেশি সাংসদ পাপুল কুয়েতের সাংসদ সাদৌন হাম্মাদকে প্রায় ২ লাখ কুয়েতি দিনার ঘুষ দিয়েছেন। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ কোটি ৫১ লাখ ৯৩ হাজার ৬৯১ টাকা।

kuwait mpp papulকুয়েতি এমপি সাদৌন হাম্মাদ ও সালাহ খুরশিদ (বামে)

নগদ ও চেক মিলিয়ে ঘুষের অর্থ পরিশোধ করা হয়েছে। এর মধ্যে ৫০ হাজার দিনার তার বাসায় দেয়া হয়েছে, বাকি দেড় লাখ দিনারের চেক পরিশোধ করা হয়েছে এক সিরীয় মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে। ওই মধ্যস্থতাকারীর মাধ্যমে সেখানে নিজের লেনদেন সহজতর করেন পাপুল।

কুয়েতের আরেক সাংসদ সালাহ খুরশিদকে নগদ ৩ লাখ ৭০ হাজার কুয়েতি দিনার দিয়েছেন পাপুল। বিভিন্ন সময় তার বাসায় গিয়ে ধাপে ধাপে এ অর্থ পরিশোধ করা হয়। তাদের পৃষ্ঠপোষকতায় একটি চক্র কুয়েতে মানবপাচারের সঙ্গে যুক্ত ছিল।

জানা গেছে, প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকা সত্ত্বেও কুয়েতে কথিত চাকরির চুক্তির কথা বলে প্রতিটি শ্রমিক থেকে আড়াই হাজার থেকে দুই হাজার ৭০০ কুয়েতি দিনার করে নেয়া হতো। পরে সেখানে পৌঁছানোর পর শ্রমিকরা দেখতো ওই নামে প্রতিষ্ঠানই নেই, চুক্তিও ভুয়া। তখন তাদের জোরপূর্বক পাপুলের মালিকানাধীন অন্য কোম্পানিতে স্বল্প বেতনে কাজে লাগানো হতো।