আপনি পড়ছেন

প্রতি বছর কানাডার পাঁচটি অঞ্চল থেকে ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরিতে চারজনকে ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড প্রদান করে দেশটির সরকার। এ বছর ‘ইমিগ্রেশন এন্ড সেটেলমেন্ট’ টিমের পক্ষ থেকে একটি ক্যাটাগরিতে এ পুরষ্কার পেয়েছেন বাংলাদেশি মেয়ে সাদিয়া রহমান স্বাতী।

sadiya canada vulentiar awardকানাডার ভলান্টিয়ার পুরষ্কার পেলেন বাংলাদেশের সাদিয়া

সম্প্রতি দেশটির পরিবার, শিশু ও সামাজিক উন্নয়ন মন্ত্রী আহমেদ হুসাইন জাতীয় ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড-১৯ এর জন্য মনোনীত চূড়ান্ত প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন। সাদিয়া রহমান স্বাতী দেশটির প্রেইরী প্রভিন্স (সাসকাচুয়ান, অ্যালবার্টা এবং ম্যানিটোবা) অঞ্চল থেকে ‘কমিউনিটি লিডার’ ক্যাটাগরিতে এ পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হন।

কিন্তু নভেল করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতিতে এই জাতীয় অ্যাওয়ার্ড প্রদান অনুষ্ঠানটি স্থগিত করা হয়েছে। তাই এখনো পুরষ্কারটি হাতে পাননি সাদিয়া রহমান। আগামী বছর স্প্রিং সিজনে দেশটির রাজধানী অটোয়াতে এই পুরষ্কার প্রদান করা হবে। তখন ‘ইমিগ্রেশন এন্ড সেটেলমেন্ট’ টীমের পক্ষ থেকে এই অ্যাওয়ার্ড গ্রহণ করবেন সাদিয়া।

প্রসঙ্গত, প্রতি বছর কানাডার পাঁচটি অঞ্চল থেকে কমিউনিটি লিডার, বিজনেস লিডার, ইমার্জিং লিডার এবং সোশ্যাল ইনোভেটর ক্যাটাগরিতে চারজনকে ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড পুরষ্কার প্রদান করা হয়। 

কানাডার স্থায়ী বাসিন্দা সাদিয়া বর্তমানে সাসকাচুয়া প্রভিন্সের রেজিনা সিটিতে বসবাস করছেন। তিনি দেশটির রয়্যাল ব্যাংক অব কানাডার ব্যাংকিং অ্যাডভাইজর হিসেবে কর্মরত আছেন। পাশাপাশি অলাভজনক এবং স্বেচ্ছাসেবী দ্বারা পরিচালিত সংগঠন ‘ইমিগ্রেশন এন্ড সেটেলমেন্ট’ প্ল্যাটফর্মের জন্মলগ্ন থেকেই এটির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন।

সাদিয়া বাংলা ভাষাভাষীদের কানাডার ইমিগ্রেশনের বিষয়ে সহযোগিতার জন্য একটি ভলান্টিয়ার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছেন। তিনি শুধু কানাডার ইমিগ্রেশনের ব্যাপারে তথ্যগত সাহায্য নয়, বরং দেশটিতে নতুন করে আসা ব্যক্তিদের সেটেলমেন্টের বিষয়েও সহযোগিতা করছেন। তার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা এবং স্বেচ্ছাসেবীদের সহযোগিতায় এসব দিক নির্দেশনা কানাডার ইমিগ্রেশন এবং সেটেলমেন্টের জন্যে যেমন সহায়ক ও যুগোপযোগী তেমনি নতুন আসা ব্যক্তিদের জন্য পথ প্রদর্শক হিসেবেও কাজ করছে।