আপনি পড়ছেন

মালয়েশিয়া সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে দেশটির রোষানলে পড়েছিলেন বাংলাদেশি রায়হান কবির। তার বিরুদ্ধে মামলা করা, গ্রেপ্তার করা, রিমান্ডে নেওয়া- সবই করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে উল্টোদিকে রায়হানের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা-সংগঠন। কী পরিণতি হতে পারে রায়হান কবিরের, এ নিয়ে জল্পনা কল্পনার অন্ত ছিল না। অবশেষে তাকে সব প্রকার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার।

raihan kabirরায়হান কবির

রায়হান কবিরের দুই আইনজীবী সুমিতা শাথিন্নি ও সি সেলভরাজা আজ বুধবার গণমাধ্যমকে এই ‘সুখবর’টি নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, মালয়েশিয়ার অভিবাসন বিভাগ রায়হানের ওপর থেকে সব অভিযোগ তুলে নিয়েছে। দেশে ফিরতে এখন আর তার কোনো বাধা নেই। যদি বিমানের টিকিট পাওয়া যায় এবং করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ আসে তাহলে যে কোনো সময় রায়হান বাংলাদেশে ফিরতে পারবে।

কাতারভিত্তিক আল জাজিরা টেলিভিশনের ‘লকড আপ ইন মালয়েশিয়া’স লকডাউন’ শীর্ষক ডকুমেন্টারিতে সাক্ষাৎকার দেন দেশটিতে অবস্থানরত বাংলাদেশি তরুণ রায়হান কবির। যেখানে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কর্তৃক প্রবাসী শ্রমিকদের প্রতি লকডাউনের সময় কী রকম অমানবিক আচরণ করা হচ্ছে- সেটি তুলে ধরেন। করোনা মোকাবেলায় মালয়েশিয়া সরকারের নেয়া পদক্ষেপে সেখানকার অভিবাসীরা বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন বলেও অভিযোগ করেন রায়হান।

malyesia police

ওই সাক্ষাৎকারের পর তার ওপর ক্ষুব্ধ হয় মালয়েশিয়া সরকার। ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করে তাকে কর্তৃপক্ষের কাছে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়। এমন ঘোষণার পর আত্মগোপনে চলে যান রায়হান কবির। পরে ২৪ জুলাই তাকে গ্রেপ্তার করে মালয়েশিয়া পুলিশ। আদালতে হাজির করে ১৪ দিনের রিমান্ড চাইলে ১৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়। অবশেষে দেশটির অভিবাসন কর্তৃপক্ষের ঘোষণায় এই সবকিছু থেকে মুক্তি পেলেন রায়হান।