আপনি পড়ছেন

গত বেশ কয়েক বছর ধরেই রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অচলাবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে লেবানন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের মহামারি ও দেশটির রাজধানী বৈরুতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর এ অচলাবস্থা আরো তীব্র হয়েছে। বন্ধ হতে বসেছে দেশটির শ্রমবাজার। এমতাবস্থায় চরম মানবিক সংকটে পড়েছেন দেশটিতে থাকা প্রবাসী বাংলাদেশিরা।

lebanon expartiseখাওয়ার টাকাও নেই লেবাননের প্রবাসীদের। ছবি- সংগৃহীত

লেবাননে থাকা প্রবাসীরা জানান, গত কয়েক বছর ধরেই এই অচলাবস্থা চলছে। নানাবিধ সংকটের মধ্যে দিন পার করছেন প্রবাসী শ্রমিকরা। এর মধ্যে সম্প্রতি বৈরুতে ভয়বহ বিস্ফোরণ শেষ পেরেকটিও ঠুকে দিয়েছে এ সংকটের কফিনে। চাকরি চলে গেছে এখানে থাকা অনেক শ্রমিকের। আর যারা এখনো কাজ করতে পারছেন, তারাও খুবই অল্প পরিমাণ পারিশ্রমিক পাচ্ছেন।

তারা আরো জানান, লেবাননের অর্থের মান কমে যাওয়ায় ধস নেমেছে দেশটির অর্থনীতিতে। এদিকে মাসের পর মাস বেতন পাচ্ছেন না শ্রমিকরা। কিন্তু দিন দিন বাড়ছে দ্রব্যমূল্য। এ ছাড়া পশ্চিমা দেশগুলোর আধিপত্য ও লেবাননের রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিভাজন এ সংকটকে আরো ঘোলা করে তুলেছে। এখন প্রবাসীরা দেশে অর্থ পাঠানো তো দূরের কথা নিজে ঠিকমতো খেতে পারছেন না। এমতাবস্থায় দেশে ফিরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা। হুমকির মুখে পড়েছে কয়েক লাখ বাংলাদেশি প্রবাসীর জীবিকা।

beirut explosion 7সম্প্রতি ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে লেবাননের রাজধানী বৈরুতে- ফাইল ছবি

বর্তমানে লেবাননে প্রায় দেড় লাখ বাংলাদেশি প্রবাসী রয়েছেন। সেখানে থাকা বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে বলা হয়েছে, যেসব প্রবাসী দেশে ফিরতে চাইছেন, তাদের পাঠানোর জন্য সাধ্যমতো চেষ্টা করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, গত বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ বিমানের একটি বিশেষ ফ্লাইটে করে লেবানন থেকে দেশে ফেরেন ৪১২ জন বাংলাদেশি। করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে বিমান চলাচল বন্ধ থাকায় এতদিন তারা সেখানে আটকে ছিলেন।