আপনি পড়ছেন

কুয়েতের অর্থনীতির প্রায় পুরোটাই তেলনির্ভর। করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী তেলের দামে ধস নামায় স্বাভাবিকভাবেই মারাত্মক সঙ্কটের মুখে পড়েছে দেশটি। অর্থনীতিকে সক্রিয় রাখতে নানা পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে সরকার। অভিবাসী শ্রমিক ছাটাইয়ের সিদ্ধান্ত সেই পরিকল্পনার একটি অংশ। এ নিয়ে কুয়েতের সংসদে নতুন একটি আইন পাশ হয়েছে বলে জানায় মার্কিন গণমাধ্যম ব্লুমবার্গ।

bd worker saudi

নতুন এই আইনে অভিবাসী শ্রমিক কমিয়ে আনতে সরকারকে ১ বছরের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়। তবে আইন প্রণয়নের আগে থেকেই বিদেশি শ্রমিক কমানোর বিষয়টি পর্যালোচনা করছে কুয়েত সরকার। গত জুনেও দেশটির প্রধানমন্ত্রী শেখ সাবাহ আল খালিদ অভিবাসীদের সংখ্যা ৭০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩০ শতাংশ করার কথা বলেছিলেন। তার ওই ঘোষণার পরই আইন তৈরির পদক্ষেপ নেওয়া হয়।

ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে কুয়েতের জনসংখ্যা ৪২ লাখ ৭০ হাজার। নতুন আইনের খসড়াতে বলা হয়েছিল, কুয়েতের মোট জনসংখ্যার অনুপাতে ৫ শতাংশ বাংলাদেশি সেখানে কাজ করতে পারবেন। বর্তমানে দেশটিতে কাজ করছে প্রায় ৩ লাখ বাংলাদেশি। অর্থাৎ, এই আইন কার্যকর করা শুরু হলে সেখানে থাকতে পারবেন ২ লাখ ১৩ হাজার ৫০০ বাংলাদেশি শ্রমিক।

bd worker singapore mask

অন্য একটি হিসেবে কুয়েতের মোট জনসংখ্যা দেখানো হয়েছে ৪৮ লাখ। যদি এই সংখ্যা অনুযায়ী হিসেব করা হয় তাহলে কুয়েতে থাকতে পারবেন ২ লাখ ৪০ হাজার বাংলাদেশি। তাও প্রায় ৬০ হাজার বাংলাদেশিকে দেশে ফেরত পাঠানো হতে পারে।

বাংলাদেশের মতো অন্যান্য দেশের জন্যও নির্দিষ্ট কোটা বেধে দেওয়া হয়েছে নতুন আইনে। সে অনুযায়ী ভারতীয় ১৫ শতাংশ শ্রমিক দেশটিতে কাজ করতে পারবেন। ১০ শতাংশ লোক কাজ করবে শ্রীলঙ্কা, মিশর ও ফিলিপাইনের। এর বাইরে অন্যান্য দেশের শ্রমিকরা কাজ করতে পারবে কুয়েতের জনসংখ্যার ৩ শতাংশ হারে।