আপনি পড়ছেন

রাশিয়ার হামলায় বিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে সরে আসা বাংলাদেশিদের সহায়তায় এগিয়ে এসেছে পোল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশিরা। দূতাবাসের পাশাপাশি তারাও স্বদেশীদের নারকীয় অবস্থা থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করছেন। খবর ডয়চে ভেলে।

bus of bangladeshi ambassyইউক্রেন-পোল্যান্ড সীমান্তে বাংলাদেশি দূতাবাসের বাস

জানা গেছে, পোল্যান্ডের মেডিকা সীমান্তে আসা বাংলাদেশিদের জন্য বিশেষ বাসের ব্যবস্থা করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। ইউক্রেন থেকে মেডিকা সীমান্ত পেরিয়ে এলে সড়কের পাশেই রয়েছে বাংলাদেশের দূতাবাসের বাস। বাসটির সামনের গ্লাসে বাংলাদেশের দূতাবাসের নাম ও লোগো লাগানো রয়েছে। এখানে ইউক্রেন থেকে আসা বাংলাদেশিদের খাবারসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে।

দূতাবাসের এ আয়োজনের পাশাপাশি ইউক্রেন থেকে আসা স্বদেশীদের সহযোগিতায় এগিয়ে এসেছেন পোল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসী বাংলাদেশিরাও। মেডিকা সীমান্তে স্বেচ্ছাসেবী হিসেবে দূতাবাসের দলের সঙ্গে কাজ করছেন তারা। হামিম নামের একজন স্বেচ্ছাসেবী জানান, তিনি ৬০০ কিলোমিটার দূর থেকে খাবার, পানিসহ বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে এসেছেন।

ukraine borderইউক্রেন সীমান্তে বিদেশিদের ঢল

তার সাথে আরো অনেক বাংলাদেশিও ব্যক্তি উদ্যোগে তাদের সহায়তা করার চেষ্টা করছেন। কেউ কেউ তাদেরকে আশ্রয় দেওয়ারও চেষ্টা করছেন। স্বেচ্ছাসেবীদের একজন জানান, ইউক্রেন থেকে সরে আসা ২৫ থেকে ৩০ জন বাংলাদেশি পোল্যান্ডের প্রবাসীদের আশ্রয়ে আছেন। এদিকে পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশতেও বাংলাদেশিদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তা অনির্বাণ নিয়োগী এ সম্পর্কে বলেন, আমাদের কয়েকটা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আছে। এর মাধ্যমে এবং ব্যক্তিগতভাবে যখনই তথ্য পাচ্ছি, সঙ্গে সঙ্গে সেখানে আমরা নিজেরাই যাচ্ছি বা রিসোর্স পাঠাচ্ছি।

দূতাবাসের বাসে আশ্রয় নেওয়া মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সুস্ময় সরকার বলেন, সীমান্ত ক্রস করার পর আমি জানতে পেরেছি এমন একটি ব্যবস্থা করা হয়েছে। এখন আপাতত আমি ওয়ারশ যাব। ওখানে গিয়ে কিছুটা বিশ্রাম নিয়ে পরে ঠিক করব কোথায় যাবো, কী করবো।

তবে বাসে থাকা বাংলাদেশিরা সীমান্তে আসার পথে চরম ভোগান্তির কথাও বর্ণনা করেন। তাদের কয়েকজন জানান, ঘণ্টার পর ঘণ্টা ঠান্ডার মধ্যে তাঁদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে।