গ্রামটিতে যাওয়ার জন্য নেই কোনো পাকা রাস্তা। তাই দীর্ঘ পাহাড়ি পথ পেরিয়ে যেতে হয় সেখানে। ভারতের অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং জেলার মুক্তো এলাকার লুংথাং গ্রাম এটি। তাওয়াং শহর থেকে এ গ্রামের দূরত্ব প্রায় ৯৭ কিলোমিটার। পাহাড় আর জঙ্গলে ঘেরা গ্রামটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে প্রায় সাড়ে ১৪ হাজার ফুট উপরে অবস্থিত। আর এ গ্রামের বাসিন্দাদের সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ নিতেই ১১ ঘণ্টা পাহাড়ি পথ হেঁটে সেখানে গেছেন খোদ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।

pema khanduঅরুণাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু। ছবি- সংগৃহীত

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি ২৪ কিলোমিটার পথ পায়ে হেঁটে লুংথাং গ্রামে যান অরুণাচলের মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দু। দীর্ঘ এ পাহাড়ি পথ পেরুতে তার সময় লেগেছে প্রায় ১১ ঘণ্টা। গ্রামটিতে যেতে তাকে অতিক্রম করতে হয়েছে ১৬ হাজার ফুট উচ্চতার খারপু লা পাহাড়। এর পর আবার সাড়ে ১৪ হাজার ফুট উপরে উঠে লুংথাং গ্রামে পৌঁছেন তিনি।

গত বৃহস্পতিবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে দেওয়া এক পোস্টে এই গ্রামে যাওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন পেমা খান্দু। গ্রামটি তার নির্বাচনী এলাকার মধ্যে পড়েছে। তাই তো গ্রামবাসীর সঙ্গে কথা বলতে এতদূর পায়ে হেঁটে যান তিনি।

pema khandu 2গ্রামবাসীদের সঙ্গে পেমা খান্দু। ছবি- সংগৃহীত

টুইটে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, লুংথাং গ্রামে যাওয়ার এ অভিজ্ঞতা সত্যিই অসাধারণ। তিনি সেখানে গ্রামবাসীদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। গ্রামের বাসিন্দারা যাতে সরকারের সকল রকমের সুযোগ-সুবিধা পান সেই চেষ্টা করবেন তিনি।

লুংথাং গ্রামে যেতে পেমা খান্দুকে বেশ কয়েকটি লেকও অতিক্রম করতে হয়। তবে পায়ে হেঁটে এ দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হলেও, পাহাড়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্য মন ভুলিয়ে রাখে সব সময়। গ্রামটিতে গিয়েই চলে আসেননি পেমা খান্দু। বরং স্থানীয় একটি বাড়িতে দুই রাত কাটান তিনি। এ গ্রামে মোট ১০টি ঘর রয়েছে। বাসিন্দা রয়েছেন মোট ৫০ জন।

গ্রামটিতে থাকার সময় তিনি স্থানীয় জাংচুপ স্তূপে একটি প্রার্থনায় অংশ নেন। এ সময় তার সঙ্গে প্রার্থনায় অংশ নেন তাওয়াংয়ের বিধায়ক সেরিং তাশি, তাওয়াং মনেস্ট্রির সাধু ও গ্রামবাসীরা। অরুণাচলের সাবেক মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্দুর বাবা দর্জি খান্দুর নামে তৈরি করা হয়েছিলে এ স্তূপটি। ২০১১ সালের ৩০ এপ্রিল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় এই গ্রামের কাছেই প্রাণ হারান তিনি। ওইদিন তিনি তাওয়াং থেকে ইটানগর যাচ্ছিলেন।

লুংথাং গ্রামের বাসিন্দাদের প্রধান পেশা পশুপালন। তারা ব্রোকপা উপজাতির। শীতকালে তারা নিজ গ্রামে বসবাস করলেও গ্রীষ্মকালে তারা পশুপালনের জন্য হিমালয়ের উপরের দিকে উঠে যায়।

Discover extraordinary stories from around the world with our exceptional news coverage. From uplifting human interest stories to groundbreaking scientific discoveries, we bring you the best of the best. Stay informed about the latest breakthroughs in technology, medicine, and beyond, and explore the world's most fascinating cultures and communities. Get inspired and informed with our exceptional news coverage.