আপনি পড়ছেন

আল-কোরআন মতে, মানুষ সম্প্রদায়ের পাশাপাশি আল্লাহ তায়ালা ইবাদতের জন্য জিন সম্প্রদায়কেও সৃষ্টি করেছেন। মানুষ সৃষ্টির অনেক আগে জিন সৃষ্টি করেছেন বলে বিভিন্ন তাফসির ও ইতিহাসের গ্রন্থে পাওয়া যায়। জিনদের মধ্যে দুষ্ট প্রকৃতির জিনও রয়েছে। তারা মানুষের অনিষ্ট সাধনে লিপ্ত থাকে।

jinপ্রতীকী ছবি

দুষ্ট জিনের খপ্পড়ে পড়ার ঘটনা আমাদের চারপাশেই দেখা যায়। জিনে ধরা মানুষ নিয়ে ভোগান্তির শেষ নেই। একে তো আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানে জিনে ধরা মানুষের চিকিৎসার বিষয়ে কিছু নেই। দ্বিতীয়ত, যারা এ রোগের চিকিৎসা করে তাদের বেশির ভাগই অনভিজ্ঞ ও লোভী মানুষ। ফলে সুচিকিৎসা পাওয়া এক প্রকার দুর্লভ হয়ে ওঠেছে।

জিনে ধরা থেকে বাঁচার জন্য রাসুল (সা.) দু’টি পদ্ধতি উম্মতকে শিখিয়ে দিয়েছেন। হাদিস শরিফ থেকে জানা যায়, এই দুটি আমল করলে আল্লাহর রহমতে জিন থেকে হেফাজত থাকা যাবে। আমল দু’টো হলো-

১. দেহ-মন পবিত্র রাখা

পবিত্রতা ইমানের অঙ্গ। মুমিন মাত্রই দেহ মন পবিত্র-রাখা আবশ্যক। যখনই তার ভেতর অপবিত্রতার লেশ দেখা যাবে সঙ্গে সঙ্গে পবিত্র হয়ে নেবে। আবুদাউদ শরিফের হাদিস থেকে জানা যায়, জিনের বসবাস অপবিত্র স্থানে বেশি। তাই রাসুল (সা.) বলেছেন, তোমরা যখন প্রাকৃতিক কাজের জন্য টয়লেটে যাবে তখন আল্লাহর কাছে এই বলে আশ্রয় চাইবে যে, ‘হে আল্লাহ! আমাকে দুষ্ট জিন থেকে আপনি হেফাজত করুন।’

এ হাদিসের ব্যাখ্যায় মুফতি সাঈদ আহমদ পালনপুরী (রহ.) বলেন, জিন নোংরা ও অপবিত্র জায়গায় থাকে। এমনকি মানুষের শরীর বা মন যখন অপবিত্র থাকে তখনও দুষ্টু জিন তাকে আক্রমণ করতে পারে। তাই সবসময় পবিত্র-পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকা জরুরি।

২. বেশি বেশি কোরআন তেলাওয়াত করা

আল্লামা জালালুদ্দিন আস সুয়ূতি (রহ.) তার জিন জাতির বিস্ময়কর ইতিহাস গ্রন্থে রাসুল (সা.) এর একাধিক হাদিস এবং বুজুর্গদের বাণী উল্লেখ করে বলেছেন, যে ঘরে বেশি বেশি এবং উচ্চ আওয়াজে কোরআন তেলাওয়াত করা হয় সে ঘরে দুষ্টু জিন আসতে পারে না। ঘরের শিশু-বৃদ্ধসহ সবাইকে কোরআন তেলাওয়াতের কারণে আল্লাহ তায়ালা জিনের বদ নজর থেকে রক্ষা করেন।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর