আপনি পড়ছেন

আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে কোরআন নাজিল হয়েছিলো। সে কোরআন আজও অবিকৃত অবস্থায় আমাদের মাঝে বর্তমান রয়েছে এবং দুনিয়ার শেষ দিন পর্যন্ত থাকবে। এ কোরআন অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করলে বিশ্ব মুসলমান আবার তাদের হারানো গৌরব ও সম্মান ফিরে পাবে কোনো সন্দেহ নেই। আজ মুসলমানরা কোরআন ছেড়ে দিয়েছে। ফলে তাদের জীবনে নেমে এসেছে গভীর হতাশা ও অন্ধকার। তাই জানা দরকার, বিশ্ব মুসলমানের কাছে কোরআনের দাবি কী?  

the holy quran

প্রথমত, একজন মুসলমানকে জানতে হবে কোরআন কী? মানবজাতির জন্য কোরআনের গুরুত্ব কতুটু? কোরআন ছাড়া যে এক পাও এগোনো মানুষের জন্য মঙ্গলজন নয়- হৃদয়ের গভীরে এ বিশ্বাস তৈরি করে নিতে হবে।

দ্বিতীয়ত, যে বিষয়টি গুরুত্ব দিতে হবে তা হলো, কোরআন বুঝে পড়তে হবে। অর্থাৎ কোরআন মানা জীবনের জন্য অপরিহার্য বিষয় একথা মনে-প্রাণে বিশ্বাস করার পর একজন মুসলমানের দায়িত্ব হবে কোরআনে আল্লাহ কী বলেছেন তা বোঝা। এ জন্য কোরআনের আয়াতের অর্থ বোঝা এবং সে অর্থ নিয়ে চিন্তা গবেষণা করা।

তৃতীয়ত, কোরআন বিশ্বাস করা এবং তা বোঝার মধ্যেই একজন মুসলমান নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখবে না। বরং কোরআনের আলোকে তিনি যা অনুধাবন করেছেন, তা বাস্তবজীবনে পুরোপুরি অনুশীলনও করবেন। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে তিনি কোরআনের আলোকে নিজেকে পরিচালনা করবেন। জীবন জিজ্ঞাসার সমাধান তিনি কোরআন থেকেই নেবেন। কোরআনের বাইরে তিনি এক পাও চলবেন না।

চতুর্থত, নিজে কোরআন পড়ে ও বুঝে বাস্তব জীবনে মেনে চললেই হবে না। সমাজের বাকি সবাই যেন কোরআনের ছায়াতলে আশ্রয় নেয়- সেজন্য দাওয়াতি কাজেও আত্মনিয়োগ করতে হবে।

কোরআনের এ চারটি দাবি পূরণ করতে পারলে আশা করা যায় মুসলামানরা আবার তাদের হারানো ঐতিহ্য ফিরে পাবে। আবার পৃৃথিবীর মানুষ কোরআনের ছায়াতলে আসবে। সুন্দর পৃথিবী ফিরে পাবে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর