আপনি পড়ছেন

রজব মাসের চাঁদ দুয়ারে রমজান রমজান বলে কড়া নাড়ে। মাহে রজব আর রমজানের মাঝে শাবান মাসের পার্থক্য মাত্র। রমজান অতি দামি মাস। খুব দামি কোনো মেহমানের জন্য যেমন অনেক আগে থেকেই আমরা নানান ধরনের প্রস্তুতি নিতে থাকি, তেমনি দামি মাস রমজানের জন্যও বেশ আগেভাগেই রাসুল (সা.) প্রস্তুতি নিতে উম্মতকে শিখিয়েছেন।

dowa 1

যখনই আকাশে রজবের চাঁদ ফুটে ওঠত, সঙ্গে সঙ্গে রাসুল (সা.) এর মনে এক অন্যরকম আবেগ ঢেউ খেলত। রজবের চাঁদে রাসুল (সা.) যেন রমজানের চাঁদকেই কল্পনা করতেন। মাহে রজবের চাঁদ দেখা মাত্রই মনে-প্রাণে রমজানের জন্য প্রস্তুত হয়ে যেতেন। মাহে রমজানের জন্য রজব হলো মানসিকভাবে প্রস্তুতির মাস।

মনোবিজ্ঞানীরা বলেন, মানসিক প্রস্তুতির জন্য ওই কাজের প্রতি আগ্রহ-আকাঙ্খা জাগিয়ে তুলতে হয়। রাসুল (সা.) এর আমল বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, তিনি (সা.) দোয়ার মাধ্যমে রমজানের প্রতি এক ধরনের বিশেষ আকাঙ্খা ভেতরজগতে তৈরি করার পদ্ধতি উম্মতকে শিখিয়েছেন।

dua

জলিলে কদর সাহাবি রাসুল (সা.) এর দীর্ঘ দশ বছরের খাদেম হজরত আনাস ইবনে মালেক (রা.) বর্ণনা করেন, যখন আকাশে মাহে রজবের চাঁদ দেখা যেতো, তখন রাসুল (সা.) এই দোয়া পড়তেন, ‘আল্লাম্মা বারিকলানা ফি রজাবাও ওয়া শাবান, ওয়া বাল্লিগনা রমাদান।

অর্থ: হে আল্লাহ! আপনি আমাদের জন্য রজব ও শাবান মাসকে বরকতময় করে দিন। আর রমজান পর্যন্ত আমাদের হায়াত বাড়িয়ে দিন।’ মুসনাদে আহমাদ।

এ হাদিস থেকে বোঝা যায়, মাহে রমজানের জন্য রাসুল (সা.) এর ব্যাকুলতা রজব মাস থেকেই শুরু হয়ে যেত। তাই আমরা যারা রাসুল (সা.) এর উম্মত বলে নিজেকে দাবি করি, আমাদের ভেতরও মাহের রমজানের জন্য ব্যাকুলতা ও প্রস্তুতি রজব মাস থেকেই শুরু করে দিতে হবে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর