আপনি পড়ছেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সম্পর্কে চরম আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য প্রদানের অভিযোগ এনে দৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন এবং সাংবাদিক সেলিম সরকারের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

inqilab editor bahauddinদৈনিক ইনকিলাবের সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন

আজ শনিবার বিকেলে গুলশান থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর (২৫), (২৯) এবং (৩১) নং ধারায় মামলাটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার। মামলা নম্বর ২২।

অভিযোগ পত্রে নিজেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নীতি ও আদর্শে বিশ্বাসী উল্লেখ করে ব্যারিস্টার সৌমিত্র বলেন, গত ২৬ জুন দৈনিক ইনকিলাবের অনলাইন সংস্করণে ‌‌‌‌'এইচ টি ইমামকে সরিয়ে দিন' শীর্ষক প্রতিবেদন করা হয়েছে। সেটিতে বঙ্গবন্ধুর কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সম্পর্কে চরম আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য প্রদান করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, প্রতিবেদনটির মূল উদ্দেশ্য দেশে-বিদেশে আওয়ামী লীগ সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ এবং দেশের অভ্যন্তরে একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা। এ ছাড়া প্রতিবেদনে লক্ষ্মীপুর-২ আসনে নির্বাচিত স্বতন্ত্র প্রার্থী কাজী শহিদ ইসলাম পাপুলের এমপি হওয়ার জন্য আওয়ামী লীগকে দায়ী করা হয়েছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিকৃত তথ্যের ওপর ভিত্তি করে তৈরি করা।

অভিযোগে পত্রে আরো বলা হয়, ইনকিলাবে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, 'গৃহপালিত বিরোধী দল থাকায় বর্তমান সংসদ নিয়ে মানুষের তেমন আগ্রহ নেই'। এর মধ্য দিয়ে মহান জাতীয় সংসদকে অপমান করা হয়েছে। যা কোনোভাবেই মেনে নেয়া যায় না। মূলত এমন উক্তির মাধ্যমে পত্রিকাটি রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অশালীন মন্তব্য করেছে।

এ বিষয়ে ব্যারিস্টার সৌমিত্র সরদার গণমাধ্যমকে বলেন, ওই প্রতিবেদনে মিথ্যা, মানহানিকর ও আক্রমণাত্মক তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। যা রাষ্ট্রের ভেতরে অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, জাতীয় সংসদ, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সরকারের শীর্ষ পর্যায়ের ব্যক্তিদের সম্পর্কে চরম আক্রমণাত্মক, মিথ্যা, বিকৃত ও মানহানিকর তথ্য উপস্থাপন করা হয়েছে।