আপনি পড়ছেন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আবদুল কাদের মির্জা ও মিজানুর রহমান বাদল গ্রুপের সংঘর্ষের সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে গুলিবিদ্ধ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির (২৮) মারা গেছেন। শনিবার দিবাগত রাত পৌনে ১১টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

journalist burhan uddin mujakkirসাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির

নিহত সাংবাদিকের বড় ভাই ফখরুদ্দিন মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির বার্তা বাজার ডটকমে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা এবং কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সংঘর্ষে কমপক্ষে ২০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে চার জন গুলিবিদ্ধ হন। যাদের একজন ছিলেন সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির।

গুরুতর আহত অবস্থায় সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে প্রথমে নোয়াখালী ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।

clash companigonj noakhaliসংঘর্ষের ঘটনায় আহত সাংবাদিক সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির

ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (পরিদর্শক) বাচ্চু মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আইসিইউতে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় রাত পৌনে ১১টার দিকে বোরহান উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. আলমগীর হোসেন জানান, সাংবাদিক বুরহান উদ্দিনের মৃত্যুর খবর তিনি শুনেছেন। তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে পুলিশ।

জানা যায়, নিহত সাংবাদিক মুজাক্কির কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরফকিরা ইউনিয়নের নোয়াব আলী মাস্টারের ছেলে। সম্প্রতি নোয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স শেষ করেন তিনি। বার্তা বাজার ছাড়াও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি ছিলেন মুজাক্কির।