আপনি পড়ছেন

আজ ৩ মে। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস। ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক দিবসটি স্বীকৃতি পাওয়ার পর থেকেই বিশ্বের প্রায় প্রতিটি দেশে পালিত হয়ে থাকে। এবারের প্রতিপাদ্য- ‘তথ্য জনগণের পণ্য’। করোনাভাইরাসের কারণে ভার্চুয়াল মাধ্যমে বাংলাদেশেও সাংবাদিকদের বিভিন্ন সংগঠন দিবসটি পালন করছে।

press freedom day

সাংবাদিকরা যেন সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন- সে জন্যই এমন দিবসের অবতারণা। কিন্তু সারা বিশ্বেই স্বাধীন সাংবাদিকতা আজ হুমকির সম্মুখীন। তুলনামূলক বিচারে বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপ। কারণ বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকে টানা দুই বছর এক ধাপ করে পিছিয়েছি আমরা।

সম্প্রতি ২০২১ সালের সূচকটি প্রকাশ করেছে সাংবাদিকদের বৈশ্বিক সংস্থা রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স (আরএসএফ)। এতে ১৮০টি দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১৫২তম, পয়েন্ট এসেছে ৪৯ দশমিক ৭১। ২০১৯ সালের সূচকে ঢাকার অবস্থান ছিল ১৫০তম, গত বছর তা এক ধাপ পিছিয়ে ১৫১তে নামে। এ বছর তা আরো এক ধাপ পেছালো।

সূচকের শীর্ষে থাকা ১০টি দেশের প্রথম ৫টি হলো যথাক্রমে- নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেন, ডেনমার্ক ও কোস্টারিকা। দ্বিতীয় ৫টি হলো- নেদারল্যান্ডস, জ্যামাইকা, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল ও সুইজারল্যান্ড।

বিশ্বের বিভিন্ন দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর ২০০২ সাল থেকে সূচক তৈরি করে আসছে রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডার্স । দেশগুলোতে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা কোন পর্যায়েছে, তার ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়।