কারাকালপাকস্তানে সংঘর্ষে নিহত ১৮, শান্তি চায় রাশিয়া

উজবেকিস্তানের স্বায়ত্তশাসিত কারাকালপাকস্তান প্রদেশে জনতার নজিরবিহীন বিক্ষোভ ও সরকারি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত ও ২৪৩ জন আহত হয়েছে। উজবেক কর্তৃপক্ষ সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে। তবে রাশিয়া আহ্বান জানিয়েছে, আইনি প্রক্রিয়ায় সমস্যার সমাধান করা হোক, দাঙ্গার মাধ্যমে নয়। খবর ডয়েচে ভেলে, রয়টার্স।

কারাকালপাকস্তানে সংঘর্ষে নিহত ১৮, শান্তি চায় রাশিয়া

নতুন প্রস্তাবিত সাংবিধানিক সংশোধনীতে স্বায়ত্তশাসন খর্ব হওয়ার আশঙ্কায় উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ কারাকালপাকস্তানের রাজধানী নুকুসে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। ন্যাশনাল গার্ড প্রেস অফিস জানিয়েছে, সংঘর্ষে ১৮ জন নিহত ও প্রায় ২৪৩ জন আহত হয়েছে। তার আগে ৫১৬ জনকে আটক করা হয়।

কারাকালপাকস্তানের স্থানীয় মিডিয়া বিরোধীদের উদ্ধৃতি দিয়ে জানায়, আহত হাজার হাজার মানুষকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিক্ষোভের পর সাংবিধানিক সংশোধনী থেকে উজবেক প্রেসিডেন্ট শাভকাত মির্জিওয়েভ পিছু হটেছেন।

সংসদ আরও ১০ দিনের জন্য খসড়া সংবিধানের ওপর আলোচনা বাড়ানোর পক্ষে ভোট দিয়েছে। এটি চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। উজবেকিস্তানের সাড়ে ৩ কোটি জনসংখ্যার মধ্যে কারাকালপাকস্তানে বাস করে প্রায় ২০ লাখ। মধ্য এশিয়ার সবচেয়ে জনবহুল দেশটির অধিকাংশ জনগণই মুসলিম।

প্রেসিডেন্ট মির্জিওয়েভ নিজেকে একজন সংস্কারক হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেতে চাইছেন। যা প্রকারন্তরে তার সরকারের উপকারে আসবে। তিনি তার পূর্বসূরি ইসলাম করিমভের কিছু নীতি উল্টাতে চান৷ প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী করিমভ ২০১৬ সালে মারা যান। ক্ষমতায় আসার পর মিরজিওয়েভ প্রথমবারের মতো নজিরবিহীন বিক্ষোভের মুখে পড়লেন।

বিক্ষোভের মধ্যেই তিনি দুইবার স্বায়ত্তশাসিত প্রদেশটি পরিদর্শন করেছেন। রোববার দ্বিতীয় সফরের সময় তিনি বিক্ষোভের মুখে পড়েন। বিক্ষোভকারীরা স্থানীয় সরকার সংস্থার ভবন দখল করার চেষ্টা করে। এ সময় সরকারি বাহিনীর সাথে তারা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

আইনি উপায়ে সমাধানের আহ্বান রাশিয়ার

উজবেকিস্তানের কারাকালপাকস্তান প্রদেশের পরিস্থিতি শুরু থেকেই নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে রাশিয়া।

রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, কারাকালপাসকস্থানে উজবেকিস্তান সরকার যে ব্যবস্থা নিয়েছে, তা আমরা স্বাগত জানাই। আমরা বিশ্বাস করি, দেশটির সরকার পরিস্থিতি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক করতে অবদান রাখবে। আমরা চাই আইনগত উপায়ে সমস্যার সমাধান হোক। সংঘাত-সংঘর্ষ কিংবা দাঙ্গার মাধ্যমে কোনো সমাধানে মস্কো বিশ্বাসী নয়।