তুরস্ক-আর্মেনিয়া সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে আরও তৎপর আঙ্কারা

আর্মেনিয়ার সঙ্গে সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে ইয়েরেভেনে আলোচনা চায় তুরস্ক। ইতোমধ্যে প্রথম দফা আয়োজনের জন্য প্রস্তাব দিয়েছেন তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেভলুত কাভুসোগলু। এই আলোচনার মধ্যস্থতা করে আসছে অস্ট্রিয়া। এর আগে চারটি আলোচনা রাশিয়া ও ভিয়েনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

টার্কিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সোমবার দেশটির পররাষ্ট্র ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জানান, সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণে ইয়েরেভানে প্রথম বৈঠক করার ব্যাপারে আর্মেনিয়াকে প্রস্তাব দিয়েছি। তবে অভ্যন্তরীণ চাপের কারণে আর্মেনিয়া এখনও বিষয়টির জন্য প্রস্তুত নয়।

কাভুসোগলু বলছেন, আর্মেনিয়ান প্রবাসীরা তুর্কি-আর্মেনিয়া সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে বিভক্তির মধ্যে রয়েছে। এনিয়ে আর্মেনিয়ায় চরমপন্থী গোষ্ঠীর কিছু কার্যক্রম দৃশ্যমান হয়েছে। মধ্যস্থতার জন্য আমরা অস্ট্রিয়াকে ধন্যবাদ জানাই। কাভুসোগলুর দাবি, পরবর্তী বৈঠকগুলো তুরস্কেও করা যেতে পারে।

তুর্কি পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুনর্ব্যক্ত করেন, তার দেশ সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে আজারবাইজানের সাথে পরামর্শ করছে। সবশেষে আমরা ধীরে ধীরে প্রক্রিয়াটি চালিয়ে যেতে চাই। আমরা আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজানের মধ্যেও সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ চাই।

তুর্কি ও আর্মেনিয়ান রাষ্ট্রদূতরা গত শুক্রবার ভিয়েনায় চতুর্থ বৈঠকে বসেন। সেখানে তারা নাগরিকদের জন্য দুই দেশের স্থল সীমান্ত খুলে দিতে সম্মত হন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব তা বাস্তবায়ন হবে বলে তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।

চলতি বছরের ১৪ জানুয়ারি মস্কোতে প্রথম দফা সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণ নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে উভয়পক্ষই কোনো পূর্বশর্ত ছাড়াই আলোচনা চালিয়ে যেতে সম্মত হয়। বৈঠকের পরে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানা যায়।

চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি ভিয়েনায় তুর্কি ও আর্মেনিয়ান রাষ্ট্রদূতরা দ্বিতীয়বারের মতো মিলিত হন এবং তৃতীয় বৈঠকটি ৩ মে একই শহরে অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়া ১২ মার্চ আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরামের সাইডলাইনে তুরস্ক ও আর্মেনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে ঐতিহাসিক দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে ২ ফেব্রুয়ারি থেকে দুদেশের মধ্যে বাণিজ্যিক ফ্লাইট পুনরায় চালু হয়েছে।