চাঁদ দখলের অভিযোগ নাসার, চীনের প্রত্যাখ্যান

দীর্ঘদিন ধরে চাঁদে নিজেদের অবস্থান শক্তিশালী করতে কাজ করছে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা বরাবরই এ ব্যাপারে একধাপ এগিয়ে রয়েছে। নাসার প্রশাসক বিল নেলসন অভিযোগ করেছেন, বেইজিং চাঁদ দখল করতে একটি সামরিক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। তবে নাসা প্রধানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেছে বেইজিং। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

চাঁদ দখলের অভিযোগ নাসার, চীনের প্রত্যাখ্যান

নাসার প্রশাসক জার্মান পত্রিকা বিল্ডকে এক সাক্ষাতকারে বলেছেন, চীনের মহাকাশ কর্মসূচি একটি সামরিক এবং অন্যদের কাছ থেকে প্রযুক্তি চুরি করেছে। আমাদের অবশ্যই খুব উদ্বিগ্ন হতে হবে যে, চীন চাঁদে অবতরণ করেছে এবং বলেছে চাঁদ এখন তাদের দখলে। দেশটি চায় অন্যরা যেন বাইরে থাকে।

তবে বেইজিং নাসা প্রধানের এই অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, চীন সর্বদা মহাকাশে শান্তি চায়। সোমবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ঝাও লিজিয়ান বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের এমন অভিযোগ এই প্রথম নয়। আগেও তারা চীনের কর্মসূচি সম্পর্কে দায়িত্বজ্ঞানহীন অভিযোগ এনেছে।

তিনি বলেন, মার্কিন পক্ষ ক্রমাগত চীনের স্বাভাবিক এবং যুক্তিসঙ্গত মহাকাশ কর্মসূচির বিরুদ্ধে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে। আমরা এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীন মন্তব্যের বিরোধিতা করি। চীন সর্বদা মহাকাশে মানবতার ভবিষ্যত নির্মাণে কাজ করছে। বেইজিং মহাকাশে অস্ত্রায়ন কিংবা যেকোনো অস্ত্র প্রতিযোগিতার বিরোধিতা করে।

গত এক দশকে চাঁদে অভিযানকে কেন্দ্র করে মহাকাশ কর্মসূচির গতি বাড়িয়েছে চীন। দেশটি ২০১৩ সালে প্রথম চাঁদে ল্যান্ডিং করেছিল এবং এই দশকের শেষের দিকে আবারও নভোচারী পাঠানোর জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা করছে।

নাসাও আর্টেমিস প্রোগ্রামের অধীনে ২০২৪ সালে চাঁদকে প্রদক্ষিণ করার জন্য একটি ক্রু মিশন পাঠানোর পরিকল্পনা করছে। ২০২৫ সালের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে একটি মহাকাশযান অবতরণ করার পরিকল্পনাও রয়েছে মার্কিন সংস্থাটির। এই দশকের মধ্যে চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে মিশন পরিচালনার পরিকল্পনা করেছে বেইজিংও।