দেশের বিভিন্ন স্থানে চীনবিরোধী বিক্ষোভ

উরুমকি হত্যাকাণ্ডের ১৩তম বর্ষপূর্তিতে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে চীনবিরোধী বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টায় নারায়ণগঞ্জের পাগলায় সচেতন নাগরিক সমাজের ব্যানারে এক বিক্ষোভ ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে প্রায় ৬০০ লোকের সমাগম হয়।

উরুমকি হত্যাকাণ্ড দিবস : দেশব্যাপী চীনবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

বিক্ষোভে বাংলা ও ইংরেজি বর্ণমালায় লেখা বিভিন্ন ব্যানার-ফেস্টুনে চীনের নিপীড়নের বর্ণনা তুলে ধরেন সচেতন জনতা। বিক্ষোভে অংশ নিয়ে পাগলার শ্রমিক লীগ সাধারণ সম্পাদক এসএম হুমায়ুন কবিরসহ বক্তারা চীনা প্রশাসনের ওই হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানান এবং এ জন্য দেশটিকে বিচারের আওতায় আনতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহবান জানান।

এদিকে দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের জহুর হোসেন মিলনায়তনে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট ফোরাম।
মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ীর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা ছিলেন ন্যাপের মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া।

উরুমকি হত্যাকাণ্ড দিবস : দেশব্যাপী চীনবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

আরও বক্তব্য রাখেন- এনডিপির মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ সোশ্যাল অ্যাকটিভিস্ট ফোরামের সমন্বয়ক রাহাত হুসাইন, সুফিবাদ রিসার্চ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান শায়েখ আল্লামা মুহিউদ্দীন খান ফারুকী প্রমুখ। আলোচনা সভা শেষে একই দাবিতে প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনও করে সংগঠনটি।

সভায় বক্তারা বলেন, চীন সরকার আনুমানিক ১৫ লাখ উইঘুর মুসলিমকে আটক করে সংশোধনের নামে নির্যাতন করছে। চীনের সংখ্যালঘু মুসলিম নিপীড়নের বিরুদ্ধে বিশ্ব মুসলিমকে সোচ্চার হতে হবে। উরুমকিতে মুসলিম গণহত্যার দায়ে আন্তর্জাতিক আদালতে চীন সরকারের বিচারেরও দাবি করা হয়।

উরুমকি হত্যাকাণ্ড দিবস : দেশব্যাপী চীনবিরোধী বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত

অন্যদিকে দিনটি উপলক্ষ্যে বিবিএসএস ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের আয়োজনে এক সাইকেল র‌্যালির আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া সংগঠনটির উদ্যোগে রাজধানী ঢাকার গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে পোস্টারিং ও প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়। প্রতিবাদ সভায় সভাপতিত্ব করেন- সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান তৌফিক আহমেদ তাফসির। যেখানে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী, সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরাও অংশগ্রহণ করেন।

উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের ৫ জুলাই চীনের জিনজিয়াংয়ের রাজধানী উরুমকিতে সহিংস দাঙ্গা শুরু হয়। দুই উইঘুর হত্যার প্রতিবাদে হাজারো মানুষ বিক্ষোভে নামে। সেখানে চীনা সরকার তাদের ওপর হামলা চালায়। ওই দাঙ্গায় মোট ১৯৭ জন নিহত ও আহত হন এক হাজার ৭২১ জন।

এরপর উইঘুর পরিচালিত মসজিদগুলো সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। বিক্ষোভে অংশ নেওয়ায় ৪০০ জনেরও বেশি ব্যক্তির বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হয়। তাদের নয় জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। ২০১০ সালের ফেব্রুয়ারির মধ্যে কমপক্ষে ২৬ জনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।