আপনি পড়ছেন

মস্কোতে মার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাসের ঠিকানা পাল্টে দিয়েছে রুশ কর্তৃপক্ষ। শিরোনাম চমকপ্রদ শোনালেও বিষয়টি হলো, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেনের দূতাবাসের সামনের সড়কের পরিবর্তন করেছে মস্কো নগর কর্তৃপক্ষ। দাপ্তরিক কাগজপত্রে সড়কগুলোর নতুন নাম প্রবর্তনের ফলে ব্রিটিশ ও মার্কিন দূতাবাসের অবস্থান অপরিবর্তিত থাকলেও লিখিত ও কথিত ঠিকানা পাল্টে যেতে বাধ্য।

flag us ukমার্কিন ও ব্রিটিশ দূতাবাসের ঠিকানা পাল্টে দিয়েছে রাশিয়া!

মস্কো সিটি কাউন্সিল জানিয়েছে, ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম পাল্টে রাখা হয়েছে ‘লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিক স্কোয়ার’। একইভাবে মার্কিন দূতাবাসের সামনের লেনটির নামকরণ হয়েছে ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক স্কোয়ার’। মস্কোর অধিবাসীদের ভোটাভুটির ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্র যেহেতু দোনেৎস্ককে স্বীকৃতি দেয়নি, তাই পরিস্থিতি মোকাবেলায় অভিনব কৌশল নিয়েছে মার্কিন দূতাবাস। মস্কোর মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ঠিকানায় সড়কের নাম ও বাড়ির নম্বর বাদ দিয়ে জিপিএস কোঅর্ডিনেট দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ, অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ জেনে অ্যাপের সাহায্যে খুঁজে নিতে হবে দূতাবাসের অবস্থান।

us moscow twsd মস্কোর মার্কিন দূতাবাসের ওয়েবসাইটে প্রদত্ত ঠিকানায় সড়কের নামের পরিবর্তে দেওয়া হয়েছে জিপিএস কোঅর্ডিনেট

জিপিএস কোঅর্ডিনেট দেখে কোনো ঠিকানা খুঁজে পেতে হলে মোবাইল অ্যাপ সঙ্গে থাকা জরুরি। কেউ চাইলে ওয়েবসাইটে প্রদত্ত টেলিফোন নাম্বারে যোগাযোগ করতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে উৎসুক সাক্ষাৎপ্রার্থী বা দর্শনার্থীকে দূতাবাসের কর্মীরা কিভাবে সড়কের নাম উল্লেখ না করে পথ নির্দেশনা দেবেন, তা জানা যায়নি।

রুশ সরকার ও মস্কো নগর কর্তৃপক্ষের কাগজপত্রে মার্কিন দূতাবাসের বর্তমান ঠিকানা হলো: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস, ভবন নং-১, দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক স্কোয়ার, মস্কো। আগে ঠিকানাটি ছিল: মার্কিন দূতাবাস, ৮ বলশই দেভিয়াতিনস্কি লেন, মস্কো।

ইউক্রেন ইস্যুতে রাশিয়ার সঙ্গে পশ্চিমা দেশগুলোর কূটনৈতিক উত্তেজনায় নতুন মাত্রা যোগ করতে চলেছে এসব নামরকণ। ইউক্রেনে রুশ আক্রমণ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার বেশ কয়েকটি অনলাইন ফোরামে মার্কিন দূতাবাসের সামনের লেনটির নাম পাল্টানোর দাবি ওঠে। এরই প্রেক্ষিতে মস্কো নগর কর্তৃপক্ষ অনলাইন ভোটিংয়ের আয়োজন করলে বিপুল সংখ্যক নাগরিক ‘দোনেৎস্ক পিপলস রিপাবলিক স্কোয়ার’ নামকরণের পক্ষে ভোট দেন।

গোড়ার দিকে ইউক্রেনে রুশ আক্রমণের বিপক্ষে বেশ উচ্চকন্ঠ অবস্থান নিয়েছিল জার্মান সরকার। এ কারণে রাশিয়ায় টুইটার, ফেসবুক ও টেলিগ্রাম ইউজারদের অনেকে জার্মান দূতাবাসের সামনের সড়কটির নাম ‘লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিক স্কোয়ার’ রাখার প্রস্তাব করেন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের কিয়েভ সরকারের পর থেকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে কট্টর অবস্থান নিতে থাকে ব্রিটেন। ইউক্রেনে সমরাস্ত্র সরবরাহের পাশাপাশি ইউক্রেনীয় সৈন্যদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে ব্রিটেন ও পোল্যান্ড। সময়ের সাথে সাথে রুশ নাগরিকদের ক্ষোভও দিক পাল্টে ব্রিটেন ও পোল্যান্ডের দিকে ধাবিত হতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় প্রস্তাব ওঠে ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনের সড়কের নাম পাল্টানোর।

এ বিষয়ে মস্কো নগর কর্তৃপক্ষ গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, মস্কোর অধিবাসীরা ব্রিটিশ দূতাবাসের সামনের সড়ক ও প্রাঙ্গনকে ‘লুগানস্ক পিপলস রিপাবলিক স্কোয়ার’ নামকরণের পক্ষে ভোট দিয়েছে। জনমত বিবেচনায় নিয়ে মস্কো মেয়র এক নির্বাহী আদেশে সড়কটির নতুন নামকরণ করেছেন।

প্রসঙ্গত, পূর্ব ইউক্রেনের লুহানস্ক প্রদেশটিকে রুশ ভাষাভাষীরা লুগানস্ক বলে থাকেন। বেশকিছূ জায়গার নাম দুটি দেশের মানুষ একটু ভিন্ন করে বলে থাকেন। যেমন- ইউক্রেনীয়রা খারকিভ আর রুশরা খারকভ বলেন, ইউক্রেনীয়রা লিসিচানস্ক আর রুশরা লিসিচানস্কি বলেন।

মস্কোর ব্রিটিশ দূতাবাস লুহানস্ক বা লুগানস্কের নাম না নিয়ে কিভাবে নিজেদের ঠিকানা জানান দেয়, সেটা দেখার বিষয় হয়ে থাকলো। তবে বুধবার বিকেল পর্যন্ত দূতাবাসের ওয়েবসাইটে আগের ঠিকানা ও সড়কের নাম বহাল ছিল।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.