অবশেষে পছন্দের জার্সি নম্বর পেলেন ফার্নান্দেজ

ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ইতোমধ্যে দুই মৌসুম পার করেছেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ। কিন্তু হুয়ান মাতার কারণে পছন্দের আট নম্বর জার্সি পড়ে খেলতে পারেননি এই অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার। মাতার ম্যানইউ অধ্যায় শেষ হওয়ায় অবশেষে আসন্ন মৌসুমে প্রিয় জার্সি নম্বরে মাঠে দেখা যাবে ফার্নান্দেজকে। বিষয়টা ভেবে রোমাঞ্চিত পর্তুগীজ তারকা।

পর্তুগীজ মিডফিল্ডারকে আট নম্বর জার্সি দিয়েছে ম্যানইউ

পর্তুগীজ ক্লাব স্পোর্টিং সিপি ছেড়ে ২০২০ সালে ম্যানইউতে নাম লেখান ফার্নান্দেজ। প্রিমিয়ার লিগ অধ্যায়ের শুরু থেকেই ১৮ নম্বর জার্সি পড়ছেন ২৭ বছর বয়সী ফুটবলার। এর আগে স্পোর্টিং সিপি এবং উদিনেসের হয়ে আট নম্বর জার্সি পড়ে খেলেছেন। জাতীয় দলের হয়েও তার পিঠে শোভা পায় এই নম্বরটি। 

ম্যানইউ কর্তৃপক্ষের কাছে আট নম্বর জার্সি চেয়েছিলেন ফার্নান্দেজ। কিন্তু অভিজ্ঞ মাতার সম্মানে মাঝমাঠের এই তারকার অনুরোধ রাখেনি রেড ডেভিলরা। তাই কোনো উপায় না পেয়ে ১৮ নম্বর জার্সি পড়েই ইংল্যান্ডের ক্লাবটির হয়ে দুই মৌসুম পার করেছেন ফার্নান্দেজ।

ম্যানইউ অধ্যায় শেষ করেছেন মাতা

চেলসি ছেড়ে ২০১৪ সালের গ্রীষ্মে ম্যানইউতে যোগ দেন মাতা। স্প্যানিশ তারকার সাথে ক্লাবের চুক্তি শেষ হয়েছে গত ৩০ জুন। নতুন চুক্তি না হওয়ায় ওল্ড ট্রাফোর্ড ছাড়তে হয়েছে ৩৪ বছর বয়সী মিডফিল্ডারকে। সেই সুযোগে ইংলিশ জায়ান্টদের আট নম্বর জার্সির নতুন মালিক বনে গেছেন ফার্নান্দেজ।

গত দুই মৌসুমের জার্সি নম্বরটাও যে বিশেষ কিছু সেটা জানিয়েছেন ফার্নান্দেজ। সংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ম্যানইউতে আসার আগের তিন বছর আমি আট নম্বর জার্সি পরে খেলেছি। কারণ আমার বাবা খেলোয়াড় হিসেবে এই নম্বর ব্যবহার করতেন। এমনকি আমার জন্মদিনও এই সংখ্যায়। এজন্য এই নম্বরটি আমার খুব পছন্দের।’

‘১৮ নম্বর আমার স্ত্রীর জন্মদিন। এছাড়া আমি যখন বড় হয়েছি তখন পল স্কোলসকে এটাতে খেলতে দেখেছি। এটা আমার কাছে আশ্চর্যজনক কিছু যা আমি উপভোগ করেছি। আমি জানি ক্লাবের প্রতি আমার অনেক দায়িত্ব আছে।’ যোগ করেন ফার্নান্দেজ।

আট নম্বর জার্সির নতুন মালিককে আনুষ্ঠানিকভাবে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে ম্যানইউ। অফিসিয়াল টুইটারে ফার্নান্দেজকে নিয়ে করা সাত সেকেন্ডের একটি ভিডিও পোস্ট করেছে ক্লাবটি। সেখানে দেখা যাচ্ছে, হাতে আট নম্বর ট্যাটু এঁকেছেন সাবেক স্পোর্টিং সিপি তারকা। ভিডিওর ক্যাপশনে লেখা, ‘আমাদের নতুন নম্বর পরিচয় করিয়ে দেওয়া হচ্ছে।’