আপনি পড়ছেন

চাপের মুখে পড়ে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনের সরে দাঁড়ানোর ঘটনায় উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে মস্কো। অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রতি অবদানের কথা স্মরণ করে এই ঘটনায় বরিসকে সহানুভূতি জানিয়েছে কিয়েভ। খবর দ্য টেলিগ্রাফ।

boris johnson 4বরিস জনসন

ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলার বিরোধিতায় শীর্ষ সারিতে ছিলেন বরিস জনসন। মস্কোর ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ, ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়া, মানবিক সাহায্য প্রদান ইত্যাদি বিষয়ে অনেকের চেয়ে অগ্রগামী ছিল বরিস জনসনের সরকার। সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়ে যুদ্ধ চলা অবস্থায় কিয়েভে হাজির হয়েছিলেন তিনি। তার এ সফরের পর বিশ্বের বাঘা বাঘা নেতারা কিয়েভে উপস্থিত হয়ে জেলেনস্কিকে সাহস জুগিয়েছেন। যুদ্ধের এই কয় মাসের মধ্যেই বরিস দ্বিতীয়বারের মতো ইউক্রেন সফর করেছেন।

এ বিষয়গুলো যেমন ইউক্রেনের জনসাধারণের কাছে বরিস জনসনের ভাবমূর্তিকে অনেক বেশি ওপরে তুলে দিয়েছে, তেমনি রাশিয়ার কাছে তাকে ভর্ৎসনার উপযোগী করে তুলেছে। এর প্রতিফলন দেখা গেছে উভয় দেশের নেতৃবৃন্দ ও গণমাধ্যমগুলোতে।

boris johnson in kyivকিয়েভ সফরে বরিস জনসন

দলীয় পদ ও প্রধানমন্ত্রিত্ব থেকে বরিস জনসনের সরে যাওয়ার পর স্পষ্টই আনন্দ প্রকাশ করেছে রাশিয়া। দেশটির নেতারা বরিস জনসনকে ‘বেকুব ক্লাউন’ হিসেবে উল্লেখ করে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে ইউক্রেনকে অস্ত্র দেওয়ার জন্য তিনি তার উপযুক্ত পুরস্কার পেয়েছেন।

ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্র পেসকভ বলেন, বরিস জনসন সত্যিই আমাদের পছন্দ করেন না। আমরাও তাকে পছন্দ করি না। আমরা আশা করতে চাই, সংলাপের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নিতে পারে এমন পেশাদার লোকজন একদিন ব্রিটেনের ক্ষমতায় আসবেন। টেলিগ্রাম পোস্টে রাশিয়ান টাইকুন ওলেগ ডেরিপাস্কা বলেছেন, এটাই হলো এক ‘বেকুব জোকারের’ অপমানজনক পরিণতি।

রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভোলোদিন বলেন, বরিসের বিদায়ে ইউরোপীয় নেতাদের চিন্তা করা উচিত যে এই ধরনের নীতি কোথায় নিয়ে যায়। আমরা আশা করবো, ব্রিটেনের নেতৃত্বে আরো পেশাদার লোক আসবে।

এদিকে বরিস জনসনের প্রতি ভালোবাসা-শ্রদ্ধা জানিয়েছে ইউক্রেন। ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মিখাইলো পোডোলিয়াক প্রথম আনুষ্ঠানিক ইউক্রেনীয় প্রতিক্রিয়ায় রাশিয়ান মন্দের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোর জন্য বরিস জনসনের নেতৃত্বের প্রশংসা করেছেন।

গত এপ্রিল মাসে তার প্রথম কিয়েভ সফরের কথা উল্লেখ করে মিখাইলো টুইটে লেখেন, একজন নেতা হওয়া মানে রাশিয়াকে মন্দ বলা, একজন নেতা হওয়া মানে সবচেয়ে সংকটময় সময়ে দায়িত্ব নেওয়া। একজন নেতা হওয়া মানে রকেট ফায়ার সত্ত্বেও কিয়েভে প্রথম সফরে আসা। রুশ দানবের হুমকি বোঝার জন্য এবং ইউক্রেনকে সমর্থন করার ক্ষেত্রে বরিস জনসনকে ধন্যবাদ।

ইউক্রেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী পাভলো ক্লিমকিন বলেন, ইউক্রেনীয়রা ব্রিটিশ প্রতিশ্রুতিকে সন্দেহ করে না বরং তারা জনসনকেই পশ্চিমা সমাবেশে একটি সম্পদ হিসাবে গণ্য করে। আর আমরা আশা করি ইউক্রেনের প্রতি ব্রিটেনের সমর্থন সব সময়ই থাকবে এবং এই সমর্থন কখনো কমবে না।

এ ব্যাপার অবশ্য বরিস জনসন তার বিদায়ী ভাষণে বলেছেন, যুক্তরাজ্য ইউক্রেনের স্বাধীনতার লড়াইকে সমর্থন করে যাবে, এতে যতদিনই লাগে। তিনি এ-ও জানান, সরকারের ইউক্রেন নীতি হাউস অফ কমন্সের সমস্ত দল দ্বারা সমর্থিত এবং নতুন প্রধানমন্ত্রীর অধীনেও তা পরিবর্তন হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

দীর্ঘ অনেক বছর ধরে রাশিয়া ও ব্রিটেনের মধ্যে সম্পর্ক টানাপড়েনের মধ্যে ছিল। কিন্তু ইউক্রেনে হামলার পর এ সম্পর্ক পুরোপুরিভাবে ধসে পড়ে।

গুগল নিউজে আমাদের প্রকাশিত খবর পেতে এখানে ক্লিক করুন...

খেলাধুলা, তথ্য-প্রযুক্তি, লাইফস্টাইল, দেশ-বিদেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষণ সহ সর্বশেষ খবর

Stay up-to-date with the latest news from Bangladesh. Our comprehensive coverage includes politics, business, sports, and culture. Get breaking news, analysis, and commentary on the issues that matter most to Bangladeshis and the international community.

Bangladesh is a country located in South Asia and is home to a diverse population of over 160 million people. It has a rich cultural heritage and a rapidly growing economy. News from Bangladesh covers a wide range of topics, including politics, economics, social issues, culture, and more. The country has made significant progress in recent years in areas such as poverty reduction, education, and healthcare. However, it still faces challenges such as corruption and environmental degradation. Bangladeshi news sources cover both local and international news to keep the public informed about the latest developments and events.