নানী বোল্ট: ১০৫ বছর বয়সের নারী দৌড়বিদ

কিংবদন্তি দৌড়বিদ উসাইন বোল্টের নাম কে না জানে। পৃথিবীর সর্বকালের দ্রুততম মানব হিসেবে খ্যাতি জ্যামাইকান এই স্প্রিন্টারের। তবে বিদ্যুৎগতির বোল্টকে এবার বোল্ড করে দিয়েছেন হরিয়ানার এক নানী।

ভারতের হরিয়ানার নারী রামবাই

১০৫ বছর বয়সী মানুষ হয়তো হাতে গোনা পাওয়া যাবে বর্তমান যুগে। আর এতো বয়স পেলেও বেশির ভাগই বিছানায় পড়ে থাকারই কথা। তবে এমন বয়সে শুধু হাঁটাচলাই নয়, রীতিমতো দৌড়বিদ হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন ভারতের হরিয়ানার নারী রামবাই।

১০৫ বছরের রামবাই জানান, ২০২১ সালে করোনার মধ্যেই স্প্রিন্টে ক্যারিয়ার শুরু করেন। এরইমধ্যে জিতে নিয়েছেন বেশ কিছু পদক। শত বয়সের ক্যাটাগরিতে দৌড়ের মাঠে নানী রামবাইয়ের প্রতিযোগী খুব একটা মেলে না। কখনো দেখা যায়, ম্যারাথন ট্র্যাকে তিনি একাই দৌড়াচ্ছেন।

আর পাশ থেকে উৎসুক দর্শক চিৎকার করছে, ‘ নানী আস্তে দৌড়াও। আস্তে দৌড়াও। পড়ে যাবে যে!’

তাতে নানী কান দেন না। অনেক সময় জবাব দেন, সেটি অত সহজে নয়। অর্থাৎ, পড়ে যাবেন না। আত্মপ্রত্যয়ী নানী দৌড় নয়, যেন উড়ে চলেন।

প্রতিযোগিতায় জেতা নয়, তার অংশগ্রহণ করাই বড়। ম্যারাথনে নানীর অংশগ্রহণকেই অন্যদের জন্য অনুকরণীয় হিসেবে দেখেন আয়োজকরা। দৌড়ে গত এক বছরেই বেশ কিছু রেকর্ড করেছেন রামবাই। এরমধ্যে ১০০ মিটার দৌড় শেষ করেছেন ৪৫ সেকেন্ডে।

২০০ মিটার ৭৪ সেকেন্ডে দৌড়ে শেষ করে নানী জিতেছেন প্রথম স্বর্ণপদক। দৌড়ে জিতেছেন গুজরাটে ভারতের অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশন আয়োজিত ‘১ম ন্যাশনাল ওপেন মাস্টার অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপ’ স্বর্ণপদক।

নিজের জীবনযাপন সম্পর্কে রামবাই জানান, প্রতিদিন ভোর চারটায় ঘুম থেকে ওঠেন তিনি। ঘুম থেকে উঠেই সকালে দৌঁড়াতে চলে যান। ব্যায়াম করেন। সব সময়ই চেষ্টা করেন সক্রীয় থাকার।
খাবারদাবার সম্পর্কে রামবাইয়ের নাতনী শর্মিলা জানান, নানী সকালে এক বাটি গরম দুধ খান। সন্ধ্যায় খান একবাটি। এভাবেই তার চলে যায়। দুধ খেয়েই শরীরে পান দৌড়ানোর শক্তি। মাঝেমধ্যে ঘি আর দই খেতেও পছন্দ করেন।

১০৫ বছর বয়সে এসে রামবাই থুত্থুরে বুড়ি নন, একজন চ্যাম্পিয়ন রানার, ভারতবাসীর কাছে ফিটনেস আইকন। তাইতো আশপাশের সবাই তাকে ডাকেন, নানী বোল্ট।

সূত্র: বিবিসি