শ্রীলঙ্কা সংকট: রাশিয়াকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র

শ্রীলঙ্কা সংকটের মূল কারণ হিসেবে রাশিয়াকে দুষছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটি মনে করে, কৃষ্ণসাগরে রাশিয়ার খাদ্য অবরোধের কারণে শ্রীলঙ্কায় সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। ইউক্রেনের শস্য রপ্তানির ওপর রাশিয়ার নিষেধাজ্ঞা শ্রীলঙ্কার অশান্তির আগুনে ঘি ঢালছে। এই খাদ্য অবরোধে অন্যান্য সংকট সৃষ্টি হতে পারে। খবর টিআরটি ওয়ার্ল্ড।

অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন

তবে রাশিয়া বলছে, ইউক্রেনের সামরিক বাহিনী বন্দরগুলো মাইনমুক্ত করলেই খাদ্যপণ্য বোঝাই জাহাজগুলো চলাচলের অনুমতি পাবে। যদিও মাইন পুতে রাখার দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে কিয়েভ।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন গতকাল রোববার ব্যাংককে সাংবাদিকদের বলেন, আমরা এই রুশ আগ্রাসনের প্রভাব সর্বত্রই দেখতে পাচ্ছি। শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতির জন্য রুশ আগ্রাসন বড় প্রভাবক হিসেবে কাজ করছে। আমরা সারাবিশ্বে এর প্রভাব নিয়ে উদ্বিগ্ন। ব্লিঙ্কেন এ সময় রাশিয়াকে ২০ মিলিয়ন টন শস্য ইউক্রেন ছেড়ে যেতে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, বিশ্বে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বৃদ্ধি পাচ্ছে।ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ান আগ্রাসন তা আরও উদ্বেগজনক হারে বাড়িয়ে দিয়েছে। থাইল্যান্ডেও এর প্রভাব পড়ছে। এখানে রাশিয়ার আগ্রাসনের কারণে সারের দাম এখন আকাশচুম্বি।

ব্লিঙ্কেন বলেন, সার বিশেষ করে থাইল্যান্ডের মতো একটি প্রাণবন্ত কৃষিকাজের দেশে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ সার সংকটের অর্থ হলো পরের বছর ফলন কমে যাবে এবং সম্ভাব্য দাম বেড়ে যাবে। একইভাবে বিশ্বব্যাপী কৃষি উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে রাশিয়ার আগ্রাসন। এতে বিশ্ববাসী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।

খাদ্য ও জ্বালানির তীব্র ঘাটতির কারণে শ্রীলঙ্কা কয়েক সপ্তাহের অশান্তিতে পড়েছে। শনিবার বিক্ষোভকারীরা দেশটির প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকসের সরকারি বাসভবনে হামলা চালানোর পর তিনি পদত্যাগে সম্মত হন। দেশটিতে এখন চরম অস্থিরতা বিরাজ করছে।

সংকটের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এরইমধ্যে গণবিক্ষোভের জেরে প্রেসিডেন্টের পালিয়ে যাওয়ার পর পদ থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। পরিস্থিতি খারাপ জেনেও দুই মাস আগে দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি।