নেতৃত্ব হারাচ্ছেন রিয়াদ, বিকল্প সাকিব!

টি-টোয়েন্টিতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ হচ্ছে বাংলাদেশ। দীর্ঘদিন ধরে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ব্যাটের চিত্রও একই সমীকরণে মিলে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে এই তারকা ক্রিকেটারের ওপর বেজায় বিরক্ত টাইগার সমর্থকরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তো অনেকেই রিয়াদের কাছ থেকে নেতৃত্বের গুরু দায়িত্ব কেড়ে নেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। এবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড, বিসিবির পরিচালকরা এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন।

একই ফ্রেমে সতীর্থ সাকিবের সাথে রিয়াদ

তিনটি করে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি খেলতে চলতি মাসেই জিম্বাবুয়ে সফর করবে বাংলাদেশ দল। আসন্ন সফরে কুড়ি ওভারের সিরিজের নেতৃত্ব থাকছে যথারীতি রিয়াদের কাঁধে। তার পরই নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে ময়মনসিংহের এই ক্রিকেটারকে। তার স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন সাকিব। এমনটাই জানিয়েছেন বিসিবির কয়েকজন পরিচালক।

স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে পরাজয় দিয়ে সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ছোট ফরম্যাটের বিশ্বমঞ্চে আট ম্যাচ খেলে দুটিতে জয়ের মুখ দেখেছে রিয়াদের দল। জয় দুটি এসেছে ওমান এবং পাপুয়া নিউগিনির মতো দুর্বল দলের বিপক্ষে। বিশ্বকাপের পরের পরিসংখ্যান আরও দুর্বিষহ। ১২ ম্যাচের মধ্যে ১১টিতেই হারের সাক্ষী হয়েছে বাংলাদেশ।

এদিকে এই ফরম্যাটের সবশেষ ১৩ ইনিংসে রিয়াদের ব্যাট থেকে এসেছে ১৮২ রান। সবশেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২৪ বলে ৩১ রান তার সর্বোচ্চ। বাকি ইনিংসগুলোর বেশিরভাগেই ১০০’র নিচে স্ট্রাইকরেটে ব্যাট করেছেন রিয়াদ।

শেষ পর্যন্ত রিয়াদকে সরিয়ে দেওয়া হলে আসন্ন এশিয়া কাপের নেতৃত্বে দেখা যেতে পারে সাকিবকে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিসিবির এক পরিচালক সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পরই অধিনায়কত্বে পরিবর্তন আসা উচিত ছিল। বোর্ড সভাপতি কয়েকজনের অনুরোধে সেটা করতে পারেননি। আসন্ন বিশ্বকাপের আগেই দক্ষ একজন অধিনায়কের হাতে দলকে তুলে দিতে পারলে ভালো হতো। অনেকদিন ধরেই এ নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। সাকিব থাকলে হয়তো (জিম্বাবুয়ে সিরিজে বিশ্রামে থাকবেন সাকিব) জিম্বাবুয়ের সিরিজেই পরিবর্তন আসতো। এখন সেটা এশিয়া কাপের আগে করতে হবে।’

টি-টোয়েন্টি নেতৃত্ব নিয়ে বিসিবির এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সব ক্রিকেটারদেরই আমাদের পছন্দ। কিন্তু ব্যক্তিগত পছন্দের চেয়ে দলের স্বার্থ আগে। আমার মনে হয়, দলের এবং দেশের ভালোর জন্য রিয়াদকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ায় ভালো হবে। মুমিনুল ছন্দে ছিল না বলে তাকে সরে যেতে হয়েছে। এখন রিয়াদকেও ধন্যবাদ বলে দেওয়ার সময় হয়েছে।’